Maruti Suzuki: মারুতির কান্ড! ভারতে এই গাড়ি আনতে খরচ করছে 1,450 কোটি টাকা

গত ৯ মে ভারতের হ্যাচব্যাক গাড়ির বাজারে নতুন প্রজন্মের Maruti Suzuki Swift লঞ্চ করেছে। কোম্পানি মডেলটির এক্স-শোরুম দাম ৬.৪৯ লাখ থেকে ৯.৬৪ লাখ টাকা ধার্য করেছে। নতুন গাড়ি বাজারে আনতে কোম্পানিকে যে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হয়, তা অজানা নয়। নতুন ভার্সনের সুইফ্টের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি একই। এই গাড়ির জন্য কোম্পানি কয়েক হাজার কোটি টাক্ ঢেলেছে। মারুতির এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন লগ্নির অঙ্কটি হচ্ছে ১,৪৫০ কোটি।

নতুন Swift বানাতে মারুতির ১,৪৫০ কোটি লগ্নি

উল্লেখ্য, 2024 Maruti Suzuki Swift-এ দেওয়া হয়েছে নতুন Z-সিরিজের ১.২ লিটার ৩-সিলিন্ডার ইঞ্জিন। এটি থেকে সর্বোচ্চ ৮২ পিএস শক্তি এবং ১১২ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। গাড়িটি ৫-স্পিড ম্যানুয়াল এবং ৫-স্পিড এএমটি গিয়ারবক্স সমেত বেছে নেওয়া যায়। বিনিয়োগের প্রসঙ্গে সংস্থার এমডি এবং সিইও হিসাশি তাকেওচি বলেন, “নতুন প্রজন্মের Swift আনতে আমরা প্রায় ১,৪৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি। নতুনত্ব টুল, ডাইস এবং আরও বেশি পরিবেশবান্ধব Z-সিরিজ ইঞ্জিনের জন্য এই লগ্নি।”

চতুর্থ প্রজন্মের Maruti Suzuki Swift সংস্থার গুজরাতের কারখানায় তৈরি হবে দেশের বাজারে বিক্রি হবে। এগুলি আবার বিদেশের বাজারেও রপ্তানি করবে মারুতি। বিশ্বের ১৬৯টি দেশে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৫ লক্ষ ইউনিট Swift বিক্রি করেছে মারুতি। ভারত, এই গাড়ির জন্য বৃহত্তম বাজার। এদেশে সুইফ্টের ৩০ লক্ষ মডেল বিক্রি হয়েছে। দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার হিসেবে রয়েছে ইউরোপ, যেখানে ১২ লক্ষ মডেল বিক্রি হয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে জাপান (বিক্রি হয়েছে ৭ লক্ষ ইউনিট)।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে মারুতি সুইফ্ট প্রথম ভারতে পথ চলা শুরু করেছিল। এরপর ২০১১-তে দ্বিতীয় প্রজন্মের এবং ২০১৮-তে তৃতীয় প্রজন্মের সুইফ্ট লঞ্চ করে মারুতি। ভারতে বিক্রির প্রসঙ্গে তাকেওচি’র বক্তব্য, “ভারত আজও আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। রপ্তানি মিলিয়ে বছরে ৪০ লক্ষ ইউনিট বিক্রির দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য আমাদের। নেতৃত্ব প্রদানকারী স্থান ধরে রাখতে হলে বিভিন্ন শ্রেণীর ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।”