Electric Bike: তাক লাগাল IIT দিল্লি! এমন ইলেকট্রিক বাইক ভারতে আগে দেখেছেন?

Avatar

Updated on:

Creatara Unveils EV concepts VS4 & VM4

ভারতের বৈদ্যুতিক যানবাহনের দুনিয়ায় বিগত কয়েক বছর ধরে পা রেখেছে একের পর এক স্টার্টআপ সংস্থা। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিনিয়ত আমরা একটু একটু করে এগিয়ে চলেছি পরিবেশবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থার দিকে। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার দিল্লি আইআইটির রিসার্চ এবং ইনোভেশন পার্কে দুটি আলাদা ইলেকট্রিক কনসেপ্ট বাইক নিয়ে হাজির হল আরও একটা নতুন সংস্থা Creatara। বাইক দুটির পোশাকি নাম- VS4 এবং VM4। দিল্লি আইআইটির বিকাশ গুপ্ত এবং রিংলারেই পামেই এর হাত ধরেই তৈরি হয়েছে ইভি স্টার্টআপ Creatara।

নতুন ইলেকট্রিক টু-হুইলার দুটির প্রদর্শন অনুষ্ঠানে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এই দুটি সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করেই তৈরি। তাদের কথায়, “এই ই-বাইক দুটিতে নিজের পছন্দমত এত ধরনের কাস্টমাইজেশন সম্ভব, যা এই প্রথম কোনো দু’চাকা গাড়িতে এমন ব্যবস্থা দেখতে পাওয়া যাবে।” এগুলির ডিজাইন ভারতীয় পরিবেশে চালানোর উপযুক্ত করেই করা হয়েছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং যে কোনো ধরনের রাস্তার অবস্থার সাথে মানিয়ে নিয়ে চলার ক্ষমতা রয়েছে ব্যাটারি পরিচালিত বাইক দুটির।

Creatara তাদের এই দুটি নতুন ইভিতে জিপিএস ট্র্যাকিং সহ বেশ কিছু সেন্সর ব্যবহার করেছে। এমনকি সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে এই বাইক দুটিতে সেফ স্টার্ট প্রযুক্তি রয়েছে। ব্যাটারি প্যাক ঠান্ডা রাখার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। সেফ স্টার্ট প্রযুক্তি আদতে এমন এক ব্যবস্থা যেখানে এটি চালু হতে রাইডারের ওজন থাকা প্রয়োজন অর্থাৎ অযাচিতভাবে আচমকা চালু হয়ে যাওয়া বা চুরি আটকাতে সাহায্য করবে এই প্রযুক্তি। সঙ্গে ব্যাটারি প্যাক কুলিং সিস্টেম ব্যাটারির অতিরিক্ত উষ্ণতা বৃদ্ধির হাত থেকে বাঁচাবে।

Electric Bike

দুটি মডেলের মধ্যে VM4 তে সর্বাধিক গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স লক্ষ্য করা যায়। এটি ইলেকট্রিক মোটোক্রস ভেহিকেল হওয়ার কারণে বিশেষ গঠনশৈলী এবং বড় সাসপেনশন সেটআপ দেওয়া হয়েছে। পারফরম্যান্সের কথা বলতে গেলে মাত্র ৩.৭ সেকেন্ডের মধ্যেই সম্পূর্ণ স্থিতাবস্থা থেকে সর্বোচ্চ ঘণ্টা প্রতি ৪০ কিমি গতিবেগ নিয়ে চলার ক্ষমতা অর্জন করে। সর্বোচ্চ গতিবেগ ১০০ কিমি/ঘণ্টা। এক চার্জে প্রায় ১০০ কিমি রাস্তা পাড়ি দেওয়ার মতো উপযুক্ত ব্যাটারি প্যাক রয়েছে। পুরোপুরি চার্জ করতে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা।

সংস্থার সহকারী প্রতিষ্ঠাতা এবং মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক বিকাশ গুপ্তা বলেন, “আমাদের লক্ষ্যই হল ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যানবাহনের মান পরবর্তী প্রজন্মের উপযুক্ত করে তোলা। সদ্য প্রকাশিত এই দুটি ইলেকট্রিক টু-হুইলার কেবলমাত্র একটি সাধারণ বাইক হিসেবে নয় বরং এগুলি দেশীয় প্রযুক্তি এবং উন্নততর আবিষ্কারের জ্বলন্ত প্রমাণ। ডিজাইন থেকে শুরু করে এর সমস্ত ফিচার গ্রাহকদের সুবিধামতো পরিবর্তন করার স্বাধীনতা রয়েছে এতে।” তবে অফিশিয়াল লঞ্চ কবে হবে, সে সম্পর্কে কিছু জানাননি তিনি।

সঙ্গে থাকুন ➥