ইভি পলিসি অর্থাৎ বৈদ্যুতিক দাড়ি সংক্রান্ত নীতি এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের রাজ্য রাজনীতিতে অন্যতম আলোচিত একটি বিষয়। আসলে সাম্প্রতিক কালে প্রকাশ পাওয়া কিছু রিপোর্টে ভারতবর্ষের বেশ কিছু রাজ্যের নাম পরিবেশ দূষণকারী হিসেবে সামনের সারিতে উঠে আসায় টনক নড়েছে প্রশাসনের। পরিবেশ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মিটিংয়ে বিভিন্ন দেশকে কার্বন নির্গমন শূন্য করার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। ভারতবর্ষও তার ব্যতিক্রম নয়। এমতাবস্থায় দিল্লির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজ্য ইভি পলিসির মাধ্যমে ব্যাটারি চালিত যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোর রোডম্যাপ তৈরি করেছে। সেই দলে এবার নতুন সংযোজন পঞ্জাব।
চলতি বছরে পালাবদলের পরে পঞ্জাব এখন আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী ভাগওয়ান্ত মানে শাসনাধীন। তাই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের দেখানো পথেই এবার পঞ্জাববাসীদের জন্য ইলেকট্রিক ভেইকেল পলিসি প্রণয়ন করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই নীতি অনুযায়ী বৈদ্যুতিক গাড়ি ক্রেতাদের ইনসেন্টিভের পাশাপাশি রোড ট্যাক্স, রেজিস্ট্রেশন ফি ইত্যাদি মুকুব করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এখনো পর্যন্ত তৈরি হওয়া এই নীতির খসড়া পত্র অনুযায়ী সে রাজ্যের প্রথম এক লক্ষ ব্যাটারি চালিত যানবাহন ক্রেতাকে ট্যাক্সি ফি মুকুবের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এই ইভি পলিসি মূলত পঞ্জাবের লুধিয়ানা, জলন্ধর, অমৃতসর, পাতিয়ালা ও ভাতিন্ডা শহরগুলির কথা ভেবেই বানানো। গোটা রাজ্যের ৫০ শতাংশেরও বেশি যানবাহন এই কয়েকটি শহর দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করে। আর এই মোট যানবাহনের মধ্যে ২৫ শতাংশকে বৈদ্যুতিকরণ করাই এই নতুন পলিসির লক্ষ্য।
প্রস্তাবিত নীতি অনুযায়ী ১০,০০০ টাকা ইনসেন্টিভের বাইরেও প্রথম ১০ হাজার ইলেকট্রিক অটোরিকশা ও ই-রিক্সা ক্রেতাকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হবে। এছাড়াও প্রথম ৫ হাজার ই-কার্ট ও হালকা বাণিজ্যিক পণ্যবাহী গাড়ির ক্রেতাকে যথাক্রমে ৩০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য করবে পঞ্জাব সরকার।
ভাগওয়ান্ত মান জানীয়েছেন, তাঁর সরকার পাবলিক ও ব্যক্তিগত পরিসরে বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং পরিকাঠামোকে উন্নত করার জন্য নতুন চার্জিং পয়েন্ট স্থাপন করবে। আগামীতে পঞ্জাবকে ব্যাটারি চালিত যানবাহন, ব্যাটারি ও এই সংক্রান্ত যন্ত্রাংশ তৈরীর আঁতুড় ঘর করে তোলাই সরকারের লক্ষ্য। এমনকি ভারতবর্ষের বুকে পঞ্জাব এমন একটি রাজ্য যারা বিশ্ব বিখ্যাত বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা সংস্থার সিইও, ইলন মাস্ক-কে সে রাজ্যে তাদের গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপনের আর্জি জানিয়েছে।