HomeAutomobileসবচেয়ে সস্তায় 150 সিসির সেরা 5 বাইক, মাইলেজ-ফিচার্সে অনবদ্য, দাম দেখুন

সবচেয়ে সস্তায় 150 সিসির সেরা 5 বাইক, মাইলেজ-ফিচার্সে অনবদ্য, দাম দেখুন

অনেক সময়ই অতিরিক্ত মাইলেজ প্রদানকারী কমিউটার বাইক নিজের মন মতো পারফরমেন্স দিতে অপারগ হয়। কখনও আবার পারফরম্যান্স ভালো দিলেও মাইলেজ মেলে অতি অল্প। এদিকে আবার বাইক নিয়ে প্রতিদিনের ব্যবহারের সঙ্গেই মাঝেমধ্যে দূরে ছুটতেও মন কেমন করে অনেকের। এই সমস্ত চাহিদার একপ্রকার মিশেল দেখতে পাওয়া যায় ১৫০ সিসির বাইকে। আপনাদের সুবিধার্থে ভারতের বাজারে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে সস্তা ১৫০ সিসির সেরা পাঁচটি মোটরসাইকেলের সন্ধান রইল।

Honda Unicorn (১.০৬ লাখ এক্স শোরুম)

দেশে ১৫০ সিসির সবচেয়ে সস্তা বাইক হল হোন্ডা ইউনিকর্ন। ডিজাইনে আহামরি চাকচিক্য না থাকলেও বাস্তবিক দিক থেকে “মোস্ট পারফেক্ট” টু-হুইলার এটি। ১৬২.৭ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন বহু বছর থেকে ভরসা যুগিয়েছে এতে। এই ইঞ্জিন থেকে উৎপন্ন হওয়া পাওয়ার এবং টর্ক যথাক্রমে ১২.৭ বিএইচপি এবং ১৪ এনএম যা বাজারের অন্যান্য প্রতিযোগী থেকে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে হোন্ডা ইউনিকর্নকে।

ইঞ্জিনের সঙ্গে রয়েছে পাঁচ ধাপ যুক্ত ম্যানুয়াল গিয়ার বক্স। কেবলমাত্র একটি সংস্করণেই কিনতে পাওয়া যায় এই বাইক। সামনের দিকে ডিস্ক ব্রেক থাকলেও পিছনে রয়েছে ড্রাম ব্রেক। সাথে সেফটি বিচার হিসেবে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস বিদ্যমান। লিটার প্রতি মাইলেজ মোটামুটি ৫০ কিমি।

Yamaha FZ-Fi (১.১৬ লাখ টাকা এক্স শোরুম)

নেকেড স্ট্রিট ফাইটার হিসাবে মাসকুলার ডিজাইনের FZ-Fi দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই ভারতীয় যুবকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। হোন্ডা ইউনিকর্নের মতোই ইয়ামাহার এই বাইকটির মধ্যেও উভয় চাকায় ডিস্ক ব্রেক সহ একটি মাত্র ভ্যারিয়েন্ট দেখতে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রেও সামনের চাকায় এবিএস উপলব্ধ রয়েছে।

FZ-Fi কে চালিকাশক্তি যোগায় ১৪৯ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন যা ১২.২ বিএইচপি শক্তি এবং ১৩.৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন করার ক্ষমতা রাখে। এর পিছনের দিকে ১৪০/৬০ সেকশনের চওড়া টায়ার, এলইডি হেডলাইট, সাইড স্ট্যান্ড ইঞ্জিন কাট অফ সুইচ ইত্যাদি বেশ কিছু আকর্ষণীয় ফিচার দেওয়া হয়েছে এতে। লিটার প্রতি প্রায় ৪৮ কিমি মাইলেজ মেলে।

Bajaj Pulsar 150 (১.১৭ লাখ টাকা এক্স শোরুম)

২০০১ সাল থেকে শুরু হয়েছে আইকনিক পালসার ব্র্যান্ডের যাত্রা। এই সিরিজের অন্তর্গত ১৫০ সিসি বাইকটি আজও তার সুচারু ডিজাইন এবং মন মাতানো পারফরম্যান্সের সাক্ষী হয়ে বিরাজ করছে। সিঙ্গেল ডিস্ক এবং ডুয়েল ডিস্ক এই দুটি ভ্যারিয়েন্টে কিনতে পাওয়া যায় পালসার ১৫০। সিঙ্গেল ডিস্ক ভ্যারিয়েন্টের সামনের দিকে ২৬০ মিমি ডিস্ক এবং পিছনে ১৩০ মিমি ড্রাম ব্রেক লাগানো রয়েছে।

অন্যদিকে ডুয়েল ডিস্ক ভার্সনের সামনে ও পিছনে যথাক্রমে ২৮০ মিমি এবং ২৩০ মিমি ডিস্ক বিদ্যমান। টুইন ডিস্ক মডেলের এক্স শোরুম মূল্য শুরু হচ্ছে ১.২০ লাখ টাকা থেকে। এর মধ্যে ১৩.৮ বিএইচপি শক্তি এবং ১৩.২৫ এনএম টর্ক উৎপাদনকারী ১৪৯ সিসির শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। মাইলেজ লিটার পিছু মোটামুটি ৪৭ কিমি।

Hero Xtreme 160R (১.১৮ লাখ টাকা এক্স শোরুম)

স্পোর্টি বাইকের বাজার কাঁপাতে হিরো বেশ কয়েক বছর আগেই লঞ্চ করেছে এক্সট্রিম ১৬০ আর। ইঞ্জিনের সক্ষমতার সঙ্গে বাইকের ওজনের অনুপাত যথার্থভাবে মেনে চলায় বাইকটি তার সেগমেন্টে সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এর অলিন্দে রয়েছে ১৬৩ সিসির ইঞ্জিন যা থেকে ১৫ বিএইচপি শক্তি এবং ১৪এনএম টর্ক জেনারেট হয়। এক্সট্রিম ১৬০ আর এর মোট ওজন ১৩৯.৫ কেজি।

হিরোর দাবি অনুযায়ী মাত্র ৪.৭ সেকেন্ডেই ০-৬০কিমি/ঘণ্টা গতিবেগ অর্জন করার ক্ষমতা রয়েছে এর। এলইডি লাইট সেট আপ, এলসিডি ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, পাঁচ ধরনের ব্রাইটনেস অপশন রয়েছে। সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস এর সাথে সিঙ্গেল ডিস্ক এবং টুইন ডিস্ক ভ্যারিয়েন্টে কিনতে পাওয়া যায় হিরো এক্সট্রিম ১৬০ আর। মাইলেজ প্রায় ৫০ কিমি।

TVS Apache RTR 160 (১.১৯ লাখ টাকা এক্স শোরুম)

নানা ধরনের আধুনিক বৈশিষ্ট্য সহ মোট তিন ধরনের ভ্যারিয়েন্টে বাজারে কিনতে পাওয়া যায় টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ বাইকটি। এন্ট্রি লেভেলের এই বাইকটির বেস সংস্করণে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস এর সঙ্গে পিছনে ড্রাম ব্রেক থাকলেও বাকি দুটি ভ্যারিয়েন্টে ডুয়েল ডিস্ক এবং সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস দেওয়া হয়েছে। এমনকি টপ মডেলটিতে TVSmartXonnect এপ্লিকেশনের মাধ্যমে ব্লুটুথ সংযুক্তিকরণ এবং ভয়েস কমান্ড ফিচার দেখতে পাওয়া যায়।

সামনে ও পিছনে উভয় দিকেই এলইডি লাইট সহ আরবান, স্পোর্ট এবং রেইন এই তিন ধরনের রাইডিং মোড থাকছে এই বাইকে। অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ এর মূল চালিকাশক্তি যোগায় ১৫৯.৭ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার যুক্ত ইঞ্জিন। স্পোর্টস মোডে এই ইঞ্জিন থেকে উৎপাদিত পাওয়ার এবং টর্ক ১৫.৮ বিএইচপি এবং ১৩.৮৫ এনএম হলেও আরবান এবং রেইন রোডে তা কমে হয় ১৩.১ বিএইচপি এবং ১২.৭ এনএম। ইঞ্জিনের ফুয়েল এফিশিয়েন্সি ৪৫ কিমি/লিটার।

RELATED ARTICLES

Most Popular