Citroen eC3 EV: এক চার্জেই 320 কিমি দূরের গন্তব্যে নিয়ে যাবে, বাজারে এল নয়া ইলেকট্রিক গাড়ি

Avatar

Updated on:

Citroen E-C3 EV launched India

দেশের সবচেয়ে সস্তার ইলেকট্রিক গাড়ির তকমা ধরে রাখল Tata Tiago EV। তবে এর জনপ্রিয়তায় ভাগ বসাতে সিট্রোয়েন (Citroen) তাদের বৈদ্যুতিক গাড়ি E-C3 EV লঞ্চ করল। ভারতে গাড়িটির দাম ১১.৫০ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১২.৪৩ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) পর্যন্ত গিয়েছে। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী Tiago EV-র দাম ৮.৪৯ লক্ষ টাকা থেকে ১১.৭৯ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) পর্যন্ত। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, সাশ্রয়ী মূল্যের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে দেশীয় সংস্থার মডেলটি। উল্লেখ্য, eC3 আইসিই মডেলের উপর ভিত্তি করে এসেছে এর ইলেকট্রিক ভার্সন।

Citroen E-C3 EV প্রতিপক্ষ, ব্যাটারি ও রেঞ্জ

সিট্রোয়েন ই-সি৩ ইভি মোট চারটি ভ্যারিয়েন্টে বেছে নেওয়া যাবে – লাইভ, ফিল, ফিল ভাইব প্যাক এবং ফিল ডুয়েল টোন ভাইব প্যাক। হ্যাচব্যাক গাড়িটি যে Tata Tiago EV-র সাথে টক্কর নিতে আনা হয়েছে, তা এতক্ষণে স্পষ্ট। ই-সি৩ ইভি-তে দেয়া হয়েছে একটি ২৯.২ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাক, যা থেকে সিঙ্গেল চার্জে ৩২০ কিলোমিটার রেঞ্জ মিলবে বলে দাবি করেছে সিট্রোয়েন।

Citroen E-C3 EV মোটর ও চার্জিং সময়

গাড়িটিতে দেওয়া হয়েছে একটি ৫৭ পিএস ক্ষমতার ইলেকট্রিক মোটর, যা থেকে ১৪৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। প্রতি ঘন্টায় ১০৭ কিমি সর্বোচ্চ গতিবেগের Citroen E-C3 EV ০-৬০ কিমি/ঘন্টার গতিবেগ ৬.৮ সেকেন্ডে তুলতে পারবে বলে দাবি করা হয়েছে। এতে উপস্থিত ইলেকট্রিক ব্যাটারিটি ডিসি ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। যাতে ৫৭ মিনিটেই ১০-৮০% চার্জ হয়ে যাবে। আবার ১৫ অ্যাম্পিয়ার পাওয়ার সকেট দ্বারা ১০-১০০% চার্জ হতে ১০.৫ ঘন্টা সময় লাগবে।

Citroen E-C3 EV ডিজাইন ও ফিচার

ডিজাইনের প্রসঙ্গে বললে ইলেকট্রিক ভার্সনের E-C3 EV এর আইসিই মডেলের সাথে অনেকাংশেই অনুরূপ। পার্থক্য বলতে নতুন মডেলটিতে দেওয়া হয়েছে ‘ই-ব্যাজিং’, যা এর পরিবেশবান্ধব বৈশিষ্ট্যকে চিহ্নিত করে। এমনকি উভয় মডেলের মধ্যে আকারগত দিক থেকেও কোনো ফারাক নেই।

Citroen E-C3 EV-এর সাথে C3-এর কেবিনে সামান্য কিছু তারতম্য দেওয়া হয়েছে। যেমন বৈদ্যুতিক মডেলটির অন্দরমহলে রয়েছে থ্রি-স্পোক ফ্ল্যাট-বটম মাল্টি ফাংশন স্টিয়ারিং হুইল, ওয়্যারলেস অ্যাপেল কারপ্লে এবং অ্যান্ড্রয়েড অটো কানেক্টিভিটি সহ একটি ১০.২৫ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম। এই ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেমে রয়েছে ৩৫টির বেশি কানেক্টেড কার ফিচার। আবার ইভি মডেলটিতে ম্যানুয়াল গিয়ার লিভারের পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে ড্রাইভ সিলেক্টর সুইচ।

সঙ্গে থাকুন ➥