Tata, Mahindra-দের আগেই দেশীয় সংস্থা আনছে ইলেকট্রিক সুপারকার, 500 কিমি রেঞ্জ, লঞ্চ কবে?

Avatar

Updated on:

Pravaig Dynamics to launch first Made in India Electric Supercar

ইদানিং সর্বাধুনিক ডিজাইন ও ফিচার দ্বারা সজ্জিত সুপারকারের চাহিদায় জোয়ার দেখা যাচ্ছে। আগের তুলনায় ধীরে ধীরে ভারতীয় ক্রেতারা সুপার কারের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করছেন। পেট্রোল বা ডিজেল চালিত বেশ কিছু বিদেশি সংস্থার সুপার কার ইতিমধ্যেই দেশের বাজারে উপলব্ধ। কিন্তু যদি ইলেকট্রিক ভার্সনের প্রসঙ্গ আসে, তবে উত্তরটি সরাসরি ‘না’ হবে। তবে ভারতীয়দের সেই অভাবও এবার পূরণ হতে চলেছে। তাও আবার একটি দেশীয় কোম্পানির হাত ধরেই। প্রাভেগ ডায়নামিক্স (Pravaig Dynamics) নামক বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থা প্রথম ভারতীয় নির্মাতা হিসেবে একটি বৈদ্যুতিক সুপারকার আগামী নভেম্বরে বাজারে আনতে চলেছে।

আট বছর বয়সী প্রাভেগ ডায়নামিক্সের দাবি, তাদের আসন্ন সুপার কারটি ইতিমধ্যেই ১,০০০-এর কাছাকাছি নিশ্চিত বুকিং পেয়েছে। তবে গাড়িটি লঞ্চের পরই এর দাম নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব। এদিকে লঞ্চের পর গাড়ির চাবি হাতে পেতে গ্রাহকদের এক বছর বা তার বেশি সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে। কারণ এর ওয়েটিং পিরিয়ড ১২-১৪ মাস।

Mk1 নামক ব্যাটারি চালিত ক্যুপ মডেলের গাড়িটি ২০২০-র শেষের দিকে প্রদর্শিত হয়েছিল। তবে প্রাভেগ ডায়নামিক্স লঞ্চ মডেলের আকার পাল্টে স্পোর্ট ইউটিলিটি ভেহিকেল বা এসইউভি (SUV)-তে পরিবর্তিত করে। এই প্রসঙ্গে সংস্থার সিইও সিদ্ধার্থ বাগরি বলেন, “যারা গাড়িটি আগাম বুকিং করেছেন, তাঁদের স্পেশাল লঞ্চ প্রাইসে দেওয়া হবে। এই দাম লঞ্চের সময় সমান থাকবে না।” তাঁর দাবি, এই এসইউভি গাড়িটি ফুল চার্জে ৫০০ কিমির বেশি রেঞ্জ দেবে। এবং এর সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘন্টায় ২০০ কিমি। আবার মাত্র ৩০ মিনিটেই এটি ৮০% চার্জ করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাগরি বলেন, “আমাদের এই গাড়িটি চলচ্চিত্রের কলাকুশলী, রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীরা বুকিং করেছেন।” অন্যদিকে প্রভাইগ জানায়, তাদের এই গাড়িটির দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের মধ্যেই থাকবে। কারণ এতে ব্যবহৃত ব্যাটারিটি দেশের বাজারে তৈরি হওয়ায় অন্য ব্যাটারির চাইতে প্রায় অর্ধেক খরচ হয়েছে। সংস্থাটিকে নতুন গাড়ি আনার অর্থ জোগান দিচ্ছে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা।

ভবিষ্যতে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য আরো বেশি লগ্নিকারীর খোঁজ করছে তারা। ২০২৭-এর মধ্যে বছরে ১০ লক্ষ গাড়ি উৎপাদনের লক্ষ্যে আগামী চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বাগরি। বর্তমানে তাদের বেঙ্গালুরুর কারখানায় বার্ষিক ২,৫০০ গাড়ি নির্মাণের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥