Online Gaming-এ মোটা কর! সরকারি সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করলেন ব্যবসায়ী আশনির গ্রোভার

Avatar

Published on:

GST on Online Gaming

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতের জনজীবনে বেশ বড় একটা জায়গা করে নিয়েছে অনলাইন গেমিং। ব্যাটেল রয়্যাল, অনলাইন রামি (Rummy) ইত্যাদি নানা ধরনের গেমে মেতে থাকছে তরুণ সম্প্রদায়। তবে এইরকম গেমগুলি বারবার খবরের শিরোনামে উঠে আসছে – কখনও সরকার কোনো গেম ব্যান করছে, তো কখনও আবার কোনো গেম থেকে প্লেয়ারের ক্ষতির কথা শোনা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় গতকাল মানে মঙ্গলবার, দেশের GST কাউন্সিলের বৈঠকে অনলাইন গেমিং নিয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকার, ক্যাসিনো এবং ঘোড়দৌড়ের মতো অনলাইন গেমিংয়ের ওপর ২৮ শতাংশ GST কর বসানোর ঘোষণা করেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে ব্যবসায়িক মহলে।

অনলাইন গেমিংয়ে GST, সরকারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রখ্যাত ব্যবসায়ী

সরকারের নেওয়া এই সাম্প্রতিক জিএসটি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বেজায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় ব্যবসায়ী আশনির গ্রোভার (Ashneer Grover)।ভারত-পে (BharatPe)-এর এই প্রাক্তন সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেছেন যে, সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশে ফ্যান্টাসি গেমিংকে ‘হত্যা’ করেছে! মানে এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ভুল এবং অযৌক্তিক বলে তাঁর মত। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে, সরকারি সিদ্ধান্তের জেরে অনলাইন গেমিংয়ের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা দিয়ে কোনো গেমে এন্ট্রি নিলে ২৮% জিএসটি এবং ৫৪ টাকা দিয়ে জিতলে সেই পুরষ্কারের ওপর ৩০ শতাংশ টিডিএস (TDS) বসবে, এতে যৌক্তিকতা কোথায়? কী বুদ্ধিই বা এক্ষেত্রে কাজে লাগানো হচ্ছে?

এখানেই শেষ নয়, আশনির একটি টুইটে আরও বলেছেন যে, ভারতে ১০ বিলিয়ন ডলারের অনলাইন গেমিং ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হতে পারতো। কিন্তু তা যেন এই চলতি বর্ষার মরশুমে ভেসে গেছে।

কেন রেগে গেলেন আশনির গ্রোভার?

আশনিরের মন্তব্য থেকে স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে তিনি কেন বিষয়টি নিয়ে এত বেশি প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন? সেক্ষেত্রে অনুমান করা হচ্ছে যে, তিনি সম্প্রতি ‘ক্রিক-পে (Cricpay) নামের অনলাইন গেমিং চালু করেছেন, যা সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সম্ভবত এ কারণেই তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে বলে রাখি, শুধু এই ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্বই নয় একইসাথে ফ্যান্টাসি লিগ পরিচালনাকারী সংস্থাগুলিও বলছে যে, যদি উচ্চতর কর আরোপ করা হয় তাহলে তাদের কার্যক্রমে প্রভাব পড়বে এবং তারা এর জন্য অন্য দেশে ব্যবসা ট্রান্সফার করতে পারে। আর, এমনটা সত্যি হলে কিন্তু ভারতের ক্রমবর্ধমান গেমিং শিল্পের বড় ক্ষতি হবে।

এক নজরে ভারতের গেমিং শিল্প

হালফিলে সময়ে ভারতে অনলাইন গেমিং একটি বড় শিল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা ২৮ থেকে ৩০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা দেখে আশা করা যায় যে দু বছর পর মানে ২০২৫ সাল নাগাদ গেমিং শিল্পের ভিত্তি হবে ৫ বিলিয়ন ডলার। এই সময় ভারতে গেমারদের সংখ্যা ৪২০ মিলিয়ন থেকে ৫০০ মিলিয়নে উন্নীত হতে পারে।

সঙ্গে থাকুন ➥