iQOO 11, iQOO 11 Pro বিশ্বের প্রথম Snapdragon 8 Gen 2 প্রসেসরের ফোন হিসেবে লঞ্চ হল

Avatar

Published on:

iQOO 11 Pro Launched

দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ অর্থাৎ ৮ই ডিসেম্বর iQOO তাদের দেশীয় বাজারে iQOO 11 স্মার্টফোন সিরিজ লঞ্চ করলো। এই নয়া লাইনআপের অধীনে মোট দুটি ফ্ল্যাগশিপ ফোন এসেছে, যথা – iQOO 11 5G এবং iQOO 11 Pro 5G। উভয় ডিভাইসেই লেটেস্ট অ্যান্ড্রয়েড ১৩ ভিত্তিক কাস্টম স্কিন এবং অত্যাধুনিক Snapdragon 8 Gen 2 চিপসেট রয়েছে। একইভাবে আরো বেশ কয়েকটি অনুরূপ অ্যাডভান্স ফিচারের সাথে প্যাক হয়ে এসেছে ফোন দুটি। যদিও ক্যামেরা ফ্রন্ট এবং ব্যাটারি বিভাগে সামান্য পার্থক্য নজরে পড়বে। চলুন iQOO 11 এবং iQOO 11 Pro স্মার্টফোন-দ্বয়ের দাম ও সমস্ত ফিচার জেনে নেওয়া যাক।

আইকো ১১ ও আইকো ১১ প্রো এর স্পেসিফিকেশন (iQOO 11 and iQOO 11 Pro specifications)

নবাগত আইকো ১১ এবং আইকো ১১ প্রো স্মার্টফোন দুটি প্রায় একইরকম ফিচারের সাথে এসেছে। দুটি ফোনেই ৬.৭৮-ইঞ্চির E6 AMOLED ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে। এই ডিসপ্লের ডিজাইন পাঞ্চ-হোল স্টাইলের এবং এটি ২কে (2K) রেজোলিউশন, ১৪৪ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, ১৪৪০ হার্টজ PWM ডিমিং এবং HDR10+ টেকনোলজি সাপোর্ট করে। তবে দুটি ডিভাইসের ডিসপ্লে প্যানেলে সামান্য তারতম্য দেখা যাবে। যেমন সিরিজের ভ্যানিলা মডেলে ফ্লাট ডিসপ্লে আছে এবং ‘প্রো’ ভ্যারিয়েন্টটি কার্ভড টাচ-স্ক্রিন সহ এসেছে।

তদুপরি পারফরম্যান্সের জন্য উভয় হ্যান্ডসেটেই লেটেস্ট স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। আর অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে এগুলিতে পাওয়া যাবে সদ্য লঞ্চ হওয়া অ্যান্ড্রয়েড ১৩ ভিত্তিক সংস্থার নিজস্ব অরিজিন ওএস ফরেস্ট কাস্টম স্কিন। আবার দুটি ডিভাইসেই, ১৬ জিবি পর্যন্ত কোয়াড-চ্যানেল LPDDR5x র‌্যাম এবং সর্বোচ্চ ৫১২ জিবি UFS 4.0 রম মিলবে। সর্বোপরি আলোচ্য সিরিজটি ৮ জিবি পর্যন্ত ভার্চুয়াল র‌্যাম ফিচার অফার করে।

আইকো ঘোষিত এই ৫জি স্মার্টফোন-দ্বয়, ভিভো (Vivo) বিকশিত নতুন ভি২ (V2) কাস্টমাইজড ‘ইমেজ সিগন্যাল প্রসেসর’ (ISP) সহ এসেছে। এই কাস্টম ISP কম আলোতেও দুর্দান্ত মানের পোট্রেট ফটো বা ভিডিও ক্যাপচার করার ক্ষমতা রাখে। উভয় ফোনের পিছনে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ বিদ্যমান। যদিও ডিভাইস দুটির সেন্সর রেজোলিউশন সম্পূর্ণ আলাদা থাকছে। যেমন, iQOO 11 Pro 5G -তে রয়েছে – ৫০ মেগাপিক্সেল Sony IMX866 প্রাইমারি সেন্সর, ১৫০-ডিগ্রি ফিশআই লেন্স সহ ৫০ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড শুটার এবং ১৩ মেগাপিক্সেল পোট্রেট-টেলিফটো সেন্সর৷

অন্যদিকে iQOO 11 5G -এর ক্যামেরাগুলি হল – ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর, ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স এবং ২এক্স অপটিক্যাল জুম সহ ১৩ মেগাপিক্সেল টেলিফটো সেন্সর৷ উভয় স্মার্টফোনের মুখ্য সেন্সরটি অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজেশন (OIS) সাপোর্ট করে। আর সেলফি ও ভিডিও কলিংয়ের জন্য এগুলি ১৬ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা সহ এসেছে।

ব্যাটারি ফ্রন্টের দিক থেকেও পার্থক্য দেখা যাবে। যেমন, সিরিজের স্ট্যান্ডার্ড মডেল আইকো ১১ -এ আছে ১২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সমর্থিত ৫,০০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি। অন্যদিকে আইকো ১১ প্রো স্মার্টফোনটি এসেছে তুলনায় ছোট অর্থাৎ ৪,৭০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারির সাথে, যা ২০০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং, ৫০ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জিং এবং ১০ ওয়াট রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট করে।

আইকো ১১ এবং আইকো ১১ প্রো -এর দাম ও লভ্যতা (iQOO 11 and iQOO 11 Pro Pricing & availability)

আইকো ১১ প্রো (iQOO 11 Pro) – ট্র্যাক এডিশন (গ্রে), আইল অফ ম্যান এডিশন (গ্রীন), এবং লেজেন্ড এডিশন (হোয়াইট), এই তিনটি কালার বিকল্পে এসেছে। আর এর স্টোরেজ বিকল্পও তিনটি, যেগুলির দাম নীচে দেওয়া হল –

• ৮ জিবি র‌্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ – ৪,৯৯৯ ইউয়ান (প্রায় ৫৭,১০০ টাকা)
• ১২ জিবি র‌্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ – ৫,৪৯৯ ইউয়ান (প্রায় ৬২,৮০০ টাকা)
• ১২ জিবি র‌্যাম + ৫১২ জিবি স্টোরেজ – ৫,৯৯৯ ইউয়ান (প্রায় ৬৮,৫০০ টাকা)

আইকো ১১ (iQOO 11) স্মার্টফোনটিও ‘প্রো’ মডেলের ন্যায় এক সমান কালার বিকল্পের সাথে লঞ্চ হয়েছে। তবে এটিকে মোট পাঁচটি মেমরি কনফিগারেশনে পাওয়া যাবে :

• ৮ জিবি র‌্যাম + ১২৮ জিবি স্টোরেজ – ৩,৭৯৯ ইউয়ান (প্রায় ৪৩,৪০০ টাকা)
• ৮ জিবি র‌্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ – ৪,০৯৯ ইউয়ান (প্রায় ৪৬,৮০০ টাকা)
• ১২ জিবি র‌্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ – ৪,৩৯৯ ইউয়ান (প্রায় ৫০,২০০ টাকা)
• ১৬ জিবি র‌্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ – ৪,৬৯৯ ইউয়ান (প্রায় ৫৩,৭০০ টাকা)
• ১৬ জিবি র‌্যাম + ৫১২ জিবি স্টোরেজ – ৪,৯৯৯ ইউয়ান (প্রায় ৫৭,১০০ টাকা)

আইকো ১১ সিরিজ অন্তর্গত দুটি মডেলই বর্তমানে চীনে প্রি-অর্ডারের জন্য উপলব্ধ। আর আগামী ১২ই ডিসেম্বর থেকে এগুলির ওপেন সেল শুরু হবে। যদিও ভারত সহ বিশ্ববাজারে ফোনগুলিকে কবে লঞ্চ করা হবে সেই বিশদ এখনো অজানা।

সঙ্গে থাকুন ➥