Vivo T1 5G স্মার্টফোনের একটি নতুন কালার ভ্যারিয়েন্ট ঘোষণা করা হল ভারতে। আলোচ্য মডেলটিকে চলতি বছরের ৯ই ফেব্রুয়ারি স্টারলাইট ব্ল্যাক এবং রেইনবো ফ্যান্টাসি – এই দুটি কালার বিকল্পে লঞ্চ করা হয়েছিল। আর এখন এই 5G ফোনটিকে সিল্কি হোয়াইট (Sliky White) রঙেও পাওয়া যাবে, যা ‘স্পেশাল ফেস্টিভ এডিশন’ হিসাবে আখ্যায়িত হয়েছে সংস্থা দ্বারা। যারপর Vivo T1 5G স্মার্টফোনকে ৩টি ভিন্ন তথা আকর্ষণীয় কালারে বেছে নেওয়া যাবে।
ভিভো-র ভারতীয় শাখা সম্প্রতি মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে জানিয়েছে, Vivo T1 5G স্মার্টফোনের ‘স্পেশাল ফেস্টিভ এডিশন’ -এর দামের বিশদ আগামী ১৭ই সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা নাগাদ প্রকাশ্যে আনা হবে। এক্ষেত্রে, নবাগত এই মডেলের দাম ফোনটির ‘রেগুলার’ ভ্যারিয়েন্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে বলে আমরা আশা করছি।
Vivo T1 5G -এর স্পেসিফিকেশন
ভিভো টি১ ৫জি ফোনের নবাগত স্পেশাল ফেস্টিভ এডিশন অর্থাৎ সিল্কি হোয়াইট কালার অপশনটি, রেগুলার মডেলের মতই অনুরূপ স্পেসিফিকেশনের সাথে এসেছে। এক্ষেত্রে, আলোচ্য হ্যান্ডসেটে একটি ৬.৫৮ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস (১০৮০×২৪০৮ পিক্সেল) IPS LCD ডিসপ্লে রয়েছে, যার রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ এবং টাচ স্যাম্পলিং রেট ২৪০ হার্টজ। পারফরম্যান্সের জন্য ডিভাইসে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৯৫ ৫জি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এটি অ্যান্ড্রয়েড ১২ ভিত্তিক ফানটাচ ওএস ১২ (FunTouch OS 12) দ্বারা চালিত। স্টোরেজ হিসাবে ৮ জিবি পর্যন্ত র্যাম এবং ১২৮ জিবি রম পাওয়া যাবে। যদিও মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে ফোনের স্টোরেজ ক্যাপাসিটি ১ টেরাবাইট পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা যাবে।
ফটোগ্রাফির জন্য ভিভো আনীত এই ৫জি স্মার্টফোনে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে। এই ক্যামেরাগুলি হল – ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর, ২ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেল ডেপ্থ শ্যুটার। অন্যদিকে, সেলফি এবং ভিডিও কলের জন্য এতে ১৬ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। ডিভাইসের ক্যামেরা সেটআপ, সুপার নাইট মোডের পাশাপাশি মাল্টি স্টাইল পোর্ট্রেট মোড সাপোর্ট করে। এছাড়া, আলোচ্য ডিভাইসটি ৫-লেয়ার টার্বো কুলিং সিস্টেম সহ এসেছে, যা ডিভাইসের মূল তাপমাত্রাকে ১০-ডিগ্রী পর্যন্ত কমিয়ে আনতে সক্ষম বলে দাবি করেছিল ভিভো।
তদুপরি, কানেক্টিভিটি বিকল্পের ক্ষেত্রে উক্ত মডেলে – 5G, 4G LTE, ডুয়াল-ব্যান্ড ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ৫.১, ইউএসবি টাইপ-সি, জিপিএস এবং ৩.৫ মিমি হেডফোন জ্যাক অন্তর্ভুক্ত। সেন্সর হিসাবে এতে – অ্যাক্সেলেরোমিটার, অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট, প্রক্সিমিটি, ই-কম্পাস, ভার্চুয়াল জাইরোস্কোপ, গ্লোনাস, গ্যালিলিও ইত্যাদি সামিল রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য হ্যান্ডসেটে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার মিলবে। আর পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য, Vivo T1 5G ফোনে ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট সহ ৫,০০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি আছে।