দোল পূর্ণিমা বা হোলিকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে রঙের উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন মানুষজন। যে উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু রঙ তাকে এড়ানো সহজ নয়। কিন্তু, দামি শখের গাড়িতে উড়ে আসা জলের বেলুন বা কেমিক্যাল মেশানো রংয়ের আঁচ পড়লে তা তুলতে গিয়ে হিমশিম খেতে পারেন। পাশাপাশি গাড়ির পেইন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই আগেভাগে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা ভালো।
কভারড পার্কিং
কথায় আছে, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। গাড়িটিকে একটি ভালো জায়গায় পার্ক করা উচিত, যেখানে উপযুক্ত কভার বা আচ্ছাদন রয়েছে। আচ্ছাদিত পার্কিং উপলব্ধ না হলে, অন্তত একটি গাড়ি কভার ব্যবহার করুন, যা গাড়িটিকে দাগ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক ক্ষতিকারক উপাদান থেকে রক্ষা করবে।
কার ওয়াক্স
এই পদ্ধতি গাড়ির পেইন্টে সুরক্ষার একটি অতিরিক্ত স্তর যোগ করা। মোম লাগালে পরে মোমযুক্ত পৃষ্ঠ থেকে দাগ তোলা সহজ হয়। রঙ ছাড়াও এর দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা রয়েছে। যেমন – পাখির বিষ্ঠা, সূর্যের রশ্মি ইত্যাদি থেকে সুরক্ষা।
রোল আপ উইন্ডোজ
আপনি যেখানেই গাড়ি পার্ক করুন না কেন, জানালাগুলো ঢেকে রাখতে ভুলবেন না। হোলি না হলেও, এটি একটি ভালো অভ্যাস। যার ফলে দোলের সময় গাড়ির কেবিনে রঙ এবং জল প্রবেশ করতে পারবে না। এর পাশাপাশি এই অভ্যাস গাড়ির কেবিনে ধুলো এবং পোকামাকড় প্রবেশ করতে বাধা দেবে।
ইন্টিরিয়র সুরক্ষিত রাখুন
ভেজা বা দাগযুক্ত কাপড় নিয়ে গাড়ি পরিষ্কার করবেন না। বদলে, কাপড় পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন বা আপনার গাড়ির আসনগুলিকে একটি তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন, যা সিটের সাথে রঙ বা জলের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করবে। ড্যাশবোর্ডে যাতে রঙ না লাগে তার জন্য একটি প্লাস্টিকের শীট ব্যবহার করতে পারেন।
ভালো করে ধুতে হবে গাড়ি
যদি আপনার গাড়ির বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ অংশে দাগ পড়ে যায়, তাহলে গাড়িটিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভালো করে ধুয়ে নিন। এক্ষেত্রে শ্যাম্পু এবং জল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও, কিছু ভালো মানের ইন্টেরিয়র ক্লিনারও পাওয়া যায় বাজারে। যত দেরি করবেন ততই সেই রঙ চেপে বসবে গাড়ির পেইন্ট স্কিমে।