IPL 2024: আইপিএলে আবার ফিক্সিংয়ের কালো মেঘ, এবারেও নাম জড়াচ্ছে রাজস্থান রয়্যালসের
আইপিএলে (IPL 2024) ফের ফিক্সিংয়ের ছায়া। আবারও সন্দেহভাজনের শিকার হয়েছে রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals)। সম্প্রতি রাজস্থান রয়্যালসের হোমগ্রাউন্ড জয়পুর এবং মুম্বাইয়ে একটি অ্যাওয়ে ম্যাচে দুই স্টেডিয়ামের অভিজাত বক্স থেকে চার সন্দেহভাজন বুকিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই জায়গা থেকে দুইজন করে বুকিকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ।
এই বুকিদের কাজ লাইভ ম্যাচ থেকে বেটিংয়ের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন। তার জন্য তারা সরাসরি স্টেডিয়ামে গিয়ে পৌঁছায়। সময়ের অপচয় কম করতে তারা এই কাজ করে থাকে। তবে ভারতে বেটিং জিনিসটা অবৈধ, তারপরেও এই ক্রিকেটে বেটিং ধরার জন্য অনেকেই মুখিয়ে থাকে। সেরকমই সেইসমস্ত বুকিরাও স্টেডিয়াম থেকে খবর পাচার করে থাকেন টাকার বিনিময়ে। আর সেটিই এক ধরনের ফিক্সিংয়ের মধ্যে ধরে মানুষ। কারণ, অর্থের বিনিময়ে ম্যাচের খবর বিক্রি।
চলতি আইপিএলে ২৮ মার্চ জয়পুরের সওয়াই মনসিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস (RR vs DC), ওই ম্যাচে সন্দেহভাজনের শিকার হয়েছিল রাজস্থানের দুইজন বুকি এবং ১ এপ্রিল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে রাজস্থান রয়্যালসের অ্যাওয়ে ম্যাচ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধেও (MI vs RR) সন্দেহ করা হয়েছিল মুম্বাইয়ে উপস্থিত দুইজন বুকিকে। তবে তাদেরকে আজ পাকড়াও করেছে স্থানীয় পুলিশ। তবে জানা যাচ্ছে, বুকি গুলি রাজস্থান রয়্যালসের সাথে জড়িত।
আইপিএলে দুর্নীতিগ্রস্ত কার্যকলাপ এবং বেটিং কোনোরকম নতুন ঘটনা নয়। ২০১৩ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের শিকার হয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের তিনজন খেলোয়াড় এস শ্রীশান্ত, অজিত চান্ডিলা এবং অঙ্কিত চৌহান। এছাড়া ১১ জন বুকিকেও আটক করেছিল দিল্লি পুলিশ। পরে তদন্তের পর সবকিছু পরিস্কার হতেই ওই তিনজন ক্রিকেটারদের উপর আজীবন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেই সাথে রাজস্থান রয়্যালস এবং চেন্নাই সুপার কিংস দুই দলকে ২০১৬ এবং ২০১৭ দুইবছর সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এবারও এই জল গড়িয়ে কোথায় দাঁড়ায়, সেটাও একটা অপেক্ষার বিষয়।