ভারতের স্টেডিয়ামে গুলিতে এবার বন্ধ হবে গুটকা রাজত্ব, BCCI কে কড়া নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
ক্রিকেট ভারতের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় খেলা হওয়ায় বিভিন্নভাবে কম্পানিগুলি তাদের প্রচার অভিযানে ক্রিকেট ম্যাচগুলিকে কাজে লাগায়। এছাড়াও তারা তারকা ক্রিকেটারদের সামনে রেখে বিজ্ঞাপন তৈরি করে সাধারণ মানুষদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে তামাক বা নেশাজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে ভারতে একাধিক বিধিনিষেধ আছে। কিন্তু আইনে ফাঁকি দিয়ে বিকল্প পদ্ধতির মাধ্যমে কম্পানিগুলি এখনও তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ক্রিকেট মাঠে এই অবৈধ বিজ্ঞাপনের নিয়ন্ত্রণের জন্য এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে।
দেশের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা স্টেডিয়ামগুলি জুড়ে তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুতকারকদের বিজ্ঞাপন হোর্ডিং অনেকদিন ধরেই প্রদর্শিত হচ্ছে। সরাসরি বিজ্ঞাপন দেওয়া আইনত বেআইনি হওয়ায় এই ব্র্যান্ডগুলি তামাকজাত দ্রব্যের প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন মাউথ ফ্রেশনার জাতীয় বিকল্প দ্রবের মাধ্যমে সাধারণ সমর্থকদের আকর্ষন করে। ক্রিকেট খেলা তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হওয়ায় তারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হচ্ছেন বলে বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়টি বারবার তুলে ধরেছেন। অনেক ক্ষেত্রে আবার একাধিক তারকা ক্রিকেটারদের এইসব বিজ্ঞাপনে প্রধান মুখ হিসাবে দেখা যায়।
ফলে এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিষেবা মন্ত্রক ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে নেশা এবং তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিতে চলেছে। মিন্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, "ক্রিকেট ম্যাচ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। এমন একাধিক ঘটনা ঘটেছে যেখানে ধোঁয়াবিহীন তামাকের বিকল্প বিজ্ঞাপনগুলি ক্রিকেট ম্যাচের সময় প্রদর্শিত হচ্ছে এবং সেই বিজ্ঞাপনে অনেক সেলিব্রেটিদেরও অংশগ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "ফলে এটি পরোক্ষভাবে তরুণদের আকৃষ্ট করছে। তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের স্বাস্থ্য ও পরিষেবার মহাপরিচালক বিসিসিআইয়ের সাথে যোগাযোগ করবেন। যাতে তারা যে কোনও ধরনের তামাক সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করে।" এছাড়াও দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ এস কে অরোরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "এই বিজ্ঞাপনগুলি আসলে সুপরিচিত তামাক গুটকা ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন। তারা আইনি চোখ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য এগুলি পান মসলা, ইলাইচি এবং অন্যান্য খাবারের নামে প্রচার করে৷ আমাদের ফুড সেফটি স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এবং অন্যান্যদের অধীনে তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট আইন রয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই এই আইনগুলির কঠোর প্রয়োগের অভাবের কারণে তারা শাস্তি থেকে ছাড় পেয়ে যায়।"