স্বস্তি পেল Xiaomi, ফোনে লুকানো সেন্সর থাকার অভিযোগ ওড়ালো আইটি সংস্থা

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইউরোপীয় দেশ লিথুয়ানিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চীনা মোবাইল সংস্থা Xiaomi-র বিরুদ্ধে তাদের ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনে অনুমোদনহীন সেন্সরশিপ টুল ব্যবহার করার জন্য অভিযোগ তোলে। এরসাথে সেই দেশের Xiaomi স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের ডিভাইসগুলির ব্যবহার বন্ধ করার পরামর্শও দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠার পর চীনা সংস্থাটি অবিলম্বে একটি বিবৃতি দিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানায় যে, তারা কখনই কোনও ব্যবহারকারীর আচরণকে সীমাবদ্ধ বা ব্লক করেনি এবং করবে না। ব্র্যান্ডটি তখন থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। এখন এক জার্মান আইটি সংস্থাও শাওমির দাবিকে সমর্থন করছে।

Xiaomi অনুমোদনহীন সেন্সরশিপের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেল

গতবছর লিথুয়ানিয়া সরকারের অভিযোগের সম্মুখীন হয় শাওমি। লিথুয়ানিয়ার রাষ্ট্র-চালিত সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা, ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার (NCSC) দাবি করে যে, কিছু শাওমি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনে এমন একটি বিল্ট-ইন ক্ষমতা রয়েছে, যা নির্দিষ্ট কিছু শর্তাবলী সনাক্ত ও সেন্সর করার ক্ষমতা রাখে। সংস্থাটি তখন উল্লেখ করেছিল যে, ফিচারটি আসলে শাওমির তরফে ইউরোপীয় অঞ্চলে বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে বাস্তবে এটি এখনও বিদ্যমান রয়েছে। এই কারণে লিথুয়ানিয়া সরকার দেশে শাওমি ফোন ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনগুলি ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দেয়। এই অভিযোগ নাকচ করার জন্য, মোবাইল সংস্থাটি একজন থার্ড পার্টি সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টকেও নিয়োগ করে।

সেই মতোই একটি জার্মান আইটি ওয়াচডগ গ্রুপ বিষয়টি নিয়ে নিজস্ব তদন্ত শুরু করেছে। এই গোষ্ঠীটি শাওমির ফোনগুলিতে সেন্সরশিপ সরঞ্জাম যুক্ত করার কোনও প্রমাণ খুঁজে পায়নি। আইটি গ্রুপ জানিয়েছে, তারা এমন কোনো অসঙ্গতি সনাক্ত করতে পারেনি, যার জন্য আরও তদন্ত বা অন্যান্য ব্যবস্থার প্রয়োজন পরে। এক কথায়, এটা স্পষ্ট যে তদন্তে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যা লিথুয়ানিয়ার সরকারের শাওমির বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগকে সমর্থন করবে।

প্রসঙ্গত, লিথুনিয়ার সাইবার সিকিউরিটি সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছিল যে “ফ্রি টিবেট”, “লং লিভ তাইওয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স” এবং “ডেমোক্রেসি মুভমেন্ট” এর মতো শব্দগুলির ব্যবহার কিছু চীনা নাগরিকের কাছে সংবেদনশীল হতে পারে, তাই ব্র্যান্ডটি তাদের সনাক্ত এবং সেন্সর করার জন্য সফ্টওয়্যার যুক্ত করেছে তাদের স্মার্টফোনগুলিতে৷ ফলে এখন লিথুয়ানিয়া এই রিপোর্টের প্রসঙ্গে কি প্রতিক্রিয়া জানায় তা দেখার বিষয়। তবে, বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই রিপোর্টটি চীনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড কে যথেষ্ট স্বস্তি দিয়েছে।