ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে হটস্টার, নেটফ্লিক্স! সরকারের নয়া পদক্ষেপে চাপে পড়বে Jio, Airtel?

ভারতীয় টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ ওরফে DoT একটি নতুন “ডাইরেক্ট টু মোবাইল” (D2M) প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে ইন্টারনেট ছাড়াই অনলাইনে ভিডিও দেখা যাবে বলে দাবি করা হচ্ছে। অর্থাৎ এফএম রেডিও ব্যবহারের মতোই মোবাইল ফোনের সাথে – নেটফ্লিক্স (Netflix), অ্যামাজন প্রাইমের (Amazon Prime) মতো ‘ওভার-দ্য-টপ’ বা OTT প্ল্যাটফর্ম সরাসরি সংযুক্ত করার মাধ্যমে ইন্টারনেট ছাড়াই ভিডিও সার্ফিং করা যেতে পারে। চলুন কীভাবে এই প্রযুক্ত কাজ করবে এবং বাস্তবেই যদি এই পরিষেবা এদেশে চালু হয় তবে অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলির প্রাধান্য কতটা বজায় থাকবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিই..

কীভাবে D2M টেকনোলজি কাজ করবে?

D2M পরিষেবা বাস্তবায়িত করতে ভিডিও এবং অন্যান্য ইন্টারনেট পরিষেবাগুলিকে একটি নির্দিষ্ট স্পেকট্রাম ব্যান্ডের সাথে সংযুক্ত করার কথা জনিয়েছে DoT। আর এই ‘ডাইরেক্ট-টু-মোবাইল’ (D2M) প্রযুক্তি পরীক্ষার জন্য প্রসার ভারতী গত বছর আইআইটি কানপুরের সাথে অংশীদারিত্ব করেছিল। এতে ৫২৬-৫৮২ মেগাহার্টজ ব্যান্ড ব্যবহার করা যাবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। আর এই পুরো পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে DoT একটি কমিটিও গঠন করেছে।

D2M পরিষেবা লঞ্চ হওয়ার পর Jio, Airtel এবং Vi টেলিকম সংস্থার অবস্থান কিরূপ হবে?

এমতাবস্থায়, একটি প্রশ্ন ওঠা খুবই স্বাভাবিক যে রিলায়েন্স জিও, ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়ার মতো টেলিকম সংস্থাগুলি কি D2M প্রযুক্তি-কেন্দ্রিক পরিষেবা লঞ্চ হওয়ার পর নিজের অস্তিত্ব বা প্রাধান্য খোয়াবে? উত্তর হল একদমই না! কারণ উল্লেখিত টেলিকম সংস্থাগুলি অন্যান্য পরিষেবাও অফার করে থাকে। তবে হ্যাঁ, অনলাইন ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে জিও, এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়া আনীত OTT প্ল্যানগুলির উপর নির্ভরতা কিছুটা হলেও কমবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ইন্টারনেট ট্রাফিকের ৮২% ভিডিও কেন্দ্রিক। ভারতে প্রতি এক মিনিটে প্রায় ১.১ মিলিয়ন মিনিটের ভিডিও স্ট্রিম বা ডাউনলোড করা হয়। যার নিরিখে, প্রতি মাসে আনুমানিক ২৪০ এক্সাবাইট ডেটা খরচ হয় শুধুমাত্র ভারতীয়দের দ্বারা।

D2M পরিষেবা চালু হলে কি লাভ হবে?

কনভার্জড ডাইরেক্ট-টু-মোবাইল (D2M) নেটওয়ার্ক বাফারিং ছাড়াই আনলিমিটেড ভিডিও দেখার অনুমতি দেবে। এই পরিষেবা অনলাইন শিক্ষার গতিপথ বিস্তৃত এবং পরিবর্তন করবে। D2M নেটওয়ার্কের সাহায্যে, সম্প্রচারকারীরা ডেটা পাইপ ব্যবহার করতে পারবে এবং ট্রাডিশনাল টিভি ছাড়াও আরো অনেক প্রকারের অ্যাপ্লিকেশনের অ্যাক্সেস প্রদান করতে পারবে। ডাইরেক্ট-টু-মোবাইল (D2M) এবং ৫জি (5G) ব্রডব্যান্ডের মধ্যে সমন্বয় ঘটলে, ভারতে ব্রডব্যান্ড খরচের উপর যেমন প্রভাব পড়বে তেমনি স্পেকট্রাম ব্যবহার উন্নত হবে।