Driverless Car: মুম্বাইয়ের সংস্থার হাত ধরে আগামী বছর ভারতে আসছে চালকবিহীন গাড়ি

মুম্বাই স্থিত গাড়ি ভাড়া দেওয়া কোম্পানি Autonomous Intelligence Motors Private Limited (AIMPL), ২০২২-এর মার্চে তাঁদের চালকবিহীন বা স্বয়ংচালিত গাড়ি ভারতের বাজারে নিয়ে আসবে। বুধবার সংস্থার তরফে একথা ঘোষণা করা হয়েছে। যা ভারতের প্রথম স্বয়ংচালিত গাড়ি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। ইন্টারনেট সংযুক্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AIoT) পরিচালিত গাড়িটি তার নিকটবর্তী ৫০০ মিটার পর্যন্ত রাস্তার হালহকিকত বুঝে সেইমতো চলবে।

সংস্থা সূত্রে খবর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) পরিচালিত এই ধরনের প্রথম চালকহীন গাড়ি বিএস-৮ (নির্গমন বিধি) সহায়ক পেট্রোল ও ডিজেল হ্যাচব্যাক ভ্যারিয়েন্টে আসবে। আবার, এর আরও একটি ভ্যারিয়েন্ট থাকবে, যা পেট্রোল-ডিজেলের পরিবর্তে চলবে বিদ্যুতে।

সম্পূর্ণ স্বয়ংচালিত (fully autonomous) গাড়িটিতে থাকবে একাধিক সেন্সর, ক্যামেরা এবং র‍্যাডার, এবং এগুলিতে দেওয়া অ্যালগরিদমের সাহায্যে আশেপাশের অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত হবে গাড়িটি। রাস্তার বাঁক, খানাখন্দ, গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য নির্দিষ্ট সড়ক নিজে থেকেই চিনে চলতে পারবে এটি।

এতে দেওয়া সেন্সরগুলির রয়েছে অসাধারণ ক্ষমতা, যেমন রাস্তার যানজট, হঠাৎ বাঁক নেওয়া, কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ, ভারী বৃষ্টিপাত – এই সবকিছুই বুঝে প্রয়োজন মতো চলতে পারবে যানটি, ঠিক যেমন একজন চালক গাড়ি চালালে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন। এমনকি রাস্তায় চলাকালীন হঠাৎ সামনে কোনো স্কুটার বা ট্যাক্সি চলে এলে তা খুব সহজেই শনাক্ত করতে পারবে, এছাড়াও অটোরিকশা, হাতেটানা রিকশা, পথচলতি মানুষের ভিড় সামলে পাশ কাটিয়ে চলতে পারবে এটি।

চালকহীন যানটি তার আশেপাশের ৫০০ মিটারের হদিশ আগেভাগেই পেয়ে যাবে। গাড়িটি গুগল ম্যাপের উপর ৫০% এবং এতে ব্যবহৃত সেন্সরগুলির উপর ৫০% নির্ভর করে পথে চলবে। স্বয়ংচালিত যানবাহনের এই প্রযুক্তিটি ২০১৪ সালে AIMPL-এর চালকহীন হ্যাচব্যাক গাড়িতে প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছিল।  কম্পিউটার টেকনোলজির ছাত্র কুশল তানাজি সিলিমকার (Kushal Tanaji Shilimkar) আইআইটি বোম্বে (IIT Bombay)-তে ন্যাশনাল রোবটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ (NRC)-এ সেটি দেখিয়েছিলেন।

বর্তমানে সিলিমকারের নিজের সংস্থা (AIMPL) একটি নিরাপদ এবং ভরসাযোগ্য স্বয়ংচালিত গাড়ির প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে চলেছে ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য। গাড়িটির প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আর কয়েকমাস বাদেই চালকহীন যানটি সবাইকে কাজে পৌঁছে দেবে।”