সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ১৬০ মাইল, ফাঁস হল Apple এর ইলেকট্রিক গাড়ির বিশেষত্ব

Avatar

Published on:

গতমাসে গাড়ি নির্মাতা সংস্থা হুন্ডাই (Hyundai) বলেছিল, অ্যাপলের ইলেকট্রিক গাড়ির (Apple Electric Car) উৎপাদনের জন্য জন্য তারা টেক জায়ান্টটির সাথে আলোচনারত। সূত্র জানাচ্ছে, অ্যাপল ও হুন্ডাই উভয় সংস্থা আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই অ্যাপল কার বা আই-কার (i-car)-এর ডেভলপমেন্ট সংক্রান্ত চুক্তিতে পৌছে যাবে। অ্যাপলের উচ্চাভিলাষী গাড়ির প্রোজেক্ট নিয়ে নানা তথ্য ইতিমধ্যে আমাদের সামনে এসেছে। অতি সম্প্রতি অ্যাপল বিশ্লেষক মিং-চি কুও আপকামিং গাড়িটির ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এনেছেন।

তিনি বলছেন, Hyundai এর E-GMP প্ল্যাটফর্মটিকে অ্যাপল তার আসন্ন বৈদ্যুতিন গাড়ির ভিত হিসেবে বেছে নিয়েছে। গত ডিসেম্বরে উন্মোচিত হওয়া হুন্ডাইয়ের ই-জিএমপি আসলে একটি ডেডিকেটেড ব্যাটারি ইলেকট্রিক ভেহিকেল (BEV) প্ল্যাটফর্ম যা দুটি মোটর, ফাইভ-লিঙ্ক সাসপেনশন, ইন্টিগ্রেটেড ড্রাইভ অ্যাক্সেল, ব্যাটারি সেল, চার্জিং সিস্টেম, এবং অন্যান্য রোলিং চ্যাসিস কম্পোনেন্ট নিয়ে গঠিত।

হুন্ডাইয়ের দাবি, তাদের এই প্ল্যাটফর্ম বর্ধিত মডুলারিটি ও সিকিওরিটি অফার করবে। পাশাপাশি এটি কর্মদক্ষতা, ড্রাইভিং রেঞ্জ সর্বাধিক করে তোলার চেষ্টা করে। জানা গেছে যে, ফুল চার্জে এই জি-এমপি প্ল্যাটফর্ম বেসড হাই-পারফরম্যান্স গাড়িগুলি ৩১০ মাইলের ড্রাইভিং রেঞ্জ দেবে। এমনকি ১৮ মিনিটের মধ্যেই এদেরকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে। এই আর্কিটেকচার বেসড গাড়িগুলির সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৬০ মাইল/ঘন্টার কাছাকাছি এবং ৩.৫ সেকেন্ডের কম সময়েই গাড়িগুলি ০-৬০ মাইল/ঘন্টা গতি ছুঁতে পারবে।

অ্যাপলের গাড়িতে লিডার (Lidar) টেকনোলজি থাকবে বলে জল্পনা চলছে যা এর অনবোর্ড এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স)-এর কার্যকমে অনেক গভীরতা যোগ করবে। A12 বায়োনিক প্রসেসরের ওপর ভিত্তি করে অ্যাপলের গাড়িতে আই-ট্র্যাকিংয়ের মতো এআই সক্ষমতা সহ C1 চিপ থাকতে পারে। ২০২৪ সালের মধ্যে অ্যাপল ও হুন্ডাই ১ লক্ষ যানবাহন তৈরির ব্যাপারে আশা প্রকাশ করছে। তবে এর বাস্তবতা কতখানি তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তোলা শুরু করেছেন। কিছু রিপোর্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, অ্যাপলের গাড়ি, উৎপাদনের পর্যায়ে যেতে নিদেনপক্ষে ৫-৭ বছর সময় নেবে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥