5G স্পেক্ট্রাম প্রাপ্তির ব্যাপারে সরকারের সবুজ সংকেত পেলো BSNL ও MTNL, যথাসময়ে চালু হবে পরিষেবা?

Avatar

Published on:

এবার সরকারের তরফ থেকে 5G স্পেক্ট্রাম গ্রহণের অনুমতি পেলো রাষ্ট্রায়ত্ত দুই সংস্থা ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (BSNL) এবং মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিটেড (MTNL)। অবশ্য 4G স্পেক্ট্রামের জন্য কার্যকর পূর্বতন শর্তগুলির ভিত্তিতেই উভয় সংস্থাকে 5G স্পেক্ট্রাম গ্রহণের ছাড়পত্র দিয়েছে সরকার। অর্থাৎ উল্লেখিত সব শর্ত পূরণ করতে না পারলে BSNL ও MTNL -এর 5G স্পেক্ট্রাম প্রাপ্তি কঠিন হতে পারে। রাজ্যসভায় একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী দেবুসিংহ চৌহান।

একইসাথে মন্ত্রী এদিন ২০১৯ সালে BSNL ও MTNL -এর পুনরুজ্জীবনের জন্য বরাদ্দ বিপুল অঙ্কের সরকারি অর্থ সাহায্যের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। এই সাহায্য প্রাপ্তির ফলে BSNL কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে শামিল হতে পেরেছে বলে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৩শে অক্টোবর সরকার বিএসএনএল ও এমটিএনএলের জন্য একটি পুনরুজ্জীবনমূলক প্রকল্পের কথা সর্বপ্রথম ঘোষণা করে। কেন্দ্র সরকার প্রস্তাবিত ভলান্টিয়ারি রিটায়ারমেন্ট স্কীম (VRS) ছাড়াও প্রকল্পটিকে কাজে লাগিয়ে সংস্থাদ্বয় তাদের বড় অঙ্কের ঋণ পরিশোধ করে। তাছাড়া এর মাধ্যমে তারা নিজেদের ক্যাপেক্স সহ অন্যান্য চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করে।

খুব শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে BSNL -এর 4G ট্রায়াল

আজ্ঞে হ্যাঁ, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস অর্থাৎ টিসিএস (TCS) এবং সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ টেলিম্যাটিক্স বা কেন্দ্রীয় সি-ডট (C-DoT) -কে সঙ্গী করে বিএসএনএল ইতিমধ্যেই তাদের কোর 4G নেটওয়ার্ক ট্রায়ালের কাজ শেষ করেছে। তাদের এই অগ্রগতির দিকে নজর রেখে বহু বিশেষজ্ঞদের অনুমান চলতি বছরের আগস্ট মাসেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি নিজস্ব 4G পরিষেবা চালু করতে সমর্থ হবে। কেউ কেউ আবার এমন নিশ্চয়তাও দিয়েছেন যে আগামী ১৫ই আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে 5G লঞ্চের দিনেই বিএসএনএল তাদের 4G পরিষেবা প্রকাশ্যে আনবে। যদিও তা একেবারে যথাসময়ে হবে কিনা সেটা এই মুহূর্তেই বলা সম্ভব নয়।

BSNL ও MTNL সংযুক্তিকরণে নারাজ কর্মীরা

অন্যদিকে একথাও উল্লেখনীয় যে MTNL বা মহানগর টেলিকম নিগম লিমিটেডের দুরবস্থা নিরসনে এবার স্থায়ী সমাধান চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই ঋণের দায়ে ধুঁকতে থাকা সংস্থাটিকে তারা রাষ্ট্রায়ত্ত বিএসএনএলের সাথে জুড়ে দিতে আগ্রহী। যদিও বিএসএনএল কর্মীদের বিরুদ্ধতার কারণে সরকার সেই সিদ্ধান্ত এখনো পর্যন্ত কার্যকর করতে পারেন নি। কর্মীদের বক্তব্য, প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকার বকেয়াগ্রস্ত এমটিএনএলকে তাদের সংস্থার সাথে জুড়ে দিলে তা বিএসএনএলের ঘুরে দাঁড়ানোর পথ সবদিক থেকেই বন্ধ করবে। তাই তারা সরকারের এমন পদক্ষেপের বিরোধী।

সঙ্গে থাকুন ➥