Flex-Fuel Vehicle: ছ’মাসের মধ্যেই দেশে বায়ো ইথানল চালিত গাড়ি আনার জন্য নির্দেশ কেন্দ্রের

Avatar

Published on:

দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের নজর বিকল্প জ্বালানির দিকে। সুফল হিসেবে বারংবার যেই বিষয়টিতে আলোকপাত করা হয়েছে তা হল, এর ফলে যেমন পেট্রোপণ্যের আমদানিতে খরচ কমবে, পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব জ্বালানি বা ইথানল চালিত যানবাহনের থেকে নির্গত দূষণের পরিমাণ কম হবে। তার ওপর পেট্রোল-ডিজেলের থেকে ইথানলের দাম অনেকটাই কম, ফলে লাভবান হবেন গাড়ির মালিকরা। সেজন্য ইথানল চালিত বা ফ্লেক্স-ফুয়েল (Flex Fuel) ইঞ্জিন তৈরির বিষয়ে অটোমোবাইল সংস্থাগুলিকে জোড় দিয়ে আসছিল কেন্দ্র। এবার তার সময়সীমা ধার্য করে দেওয়া হল।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari) টুইট বার্তায়, আগামী ৬ মাসের মধ্যে দেশের বিএস৬ নির্গমন মাপকাঠি মেনে ফ্লেক্স ফুয়েল ভেহিকেলস (FFV) এবং ফ্লেক্স ফুয়েল স্ট্রং হাইব্রিড ইলেকট্রিক ভেহিকেলস (FFV-SHEV) নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন।

সেখানে তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত অভিযান এবং সরকারি নীতি অনুযায়ী পরিবহণের জন্য ফ্লেক্স ফুয়েল যানবাহনের প্রতি জোর দেওয়া হচ্ছে। ফ্লেক্স ফুয়েল চালিত ইঞ্জিন সম্পূর্ণ পেট্রোল, সম্পূর্ণ জৈব ইথানল (Bio-Ethanol) অথবা দুইয়ের মিশ্রিত জ্বালানিতে চলে। এমনকি ফ্লেক্স ফুয়েল স্ট্রং হাইব্রিড ইলেকট্রিক ভেহিকেলস (FFV-SHEV) আবার বিদ্যুতেও চলতে সক্ষম।

গডকড়ীর কথায়, এর ফলে কেন্দ্রের ২০৩০-এর মধ্যে যানবাহন থেকে কার্বনের নির্গমন এক বিলিয়ন টন কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যাবে। এছাড়াও ফ্লেক্স ফুয়েল যানবাহনের গতি ত্বরান্বিত করতে সরকার উৎপাদন ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্প (PLI)-এর আওতায় অটোমোবাইল, নানাবিধ যন্ত্রাংশ (ফ্লেক্স ফুয়েল যানবাহনেরও) সামিল করেছে। এদিকে NITI Aayog ইথানল ব্লেন্ডিং প্রোগ্রাম (EBP)-কে স্বীকৃতি দিয়েছে, যাতে ২০২০-২৫ এর মধ্যে ইথানল মিশ্রণের জন্য সমগ্র দেশে একটি রূপরেখা তৈরি করা যায়।

প্রসঙ্গত, পুণেতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে তিনটে E-100 ইথানল স্টেশন লঞ্চ করা হয়েছে। আগামী দিনে দেশে আরো ইথানল পাম্পিং স্টেশন বসানো হবে বলে জানিয়েছেন নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari)। তবে পরিশেষে যেই প্রশ্নটিই স্বভাবতই উঠে আসছে, তা হল, এত অল্প সময়ের মধ্যে কেন্দ্রের এই নির্দেশ কীভাবে বাস্তবায়িত হবে!

সঙ্গে থাকুন ➥