Dhaba Fuel Station: এবার লস্যির পাশাপাশি ধাবায় পাওয়া যেতে পারে পেট্রোল, ইঙ্গিত নীতিন গডকরির

Avatar

Published on:

দূরে কোথাও যাত্রার ক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষন গাড়ি চাড়ার পর স্বভাবতই আমাদের ক্লান্তি আসে। আমরা হামেশাই সড়কের ধারে কোনো ধাবাতে গাড়ি পার্কিং করে খানিক জিরিয়ে নিই। সাথে পেটপুজো তো রয়েছেই। পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ধাবারই সুখ্যাতি রয়েছে। জাতীয় সড়কের পাশের ভোজনখানাগুলিতে এবার নিজেদের পেট ভরার পাশাপাশি গাড়ির ক্ষুধা নিবৃত্তিও ঘটবে। খুব শীঘ্রই এগুলিতে খাবারের পাশাপাশি মিলবে গাড়ির পেট্রোল ও ডিজেল। দেশের সড়ক পরিবহণ এবং হাইওয়ে মন্ত্রী নীতিন গডকরি (Niyin Gadkari) এবার সে কথাই জানালেন।

এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, দেশের ধাবা মালিকরাও যাতে পেট্রল পাম্প নির্মাণের অনুমতি পায় সেই মোতাবেক সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের কাজ করতে বলেছেন। আজ একটি সভাতে গিয়ে তিনি রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা ধাবাগুলির সুবিধা প্রসঙ্গে আলোকপাত করেছেন। তিনি যে ভোজনখানার মালিকদের পেট্রল পাম্প নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে অধিক উৎসাহিত তা তার কথাতেই ধরা পড়েছে।

এই প্রসঙ্গে গডকরি বলেন, এই ধাবাগুলিতে যেমন গাড়ির চালকরা থাকা-খাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পান, তেমন ধাবা মালিকরাও উপার্জন করতে পারেন। তার কথায়, “আজ সকালেই আমি পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। যেভাবে ন্যাশনাল হাইওয়েস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা (NHAI) দেশের পেট্রল পাম্পগুলিকে নো-অবজেকশন শংসাপত্র দিয়ে থাকে, তেমনভাবেই আমাদেরও উচিত ছোট ধাবা মালিকদের পেট্রোল পাম্প এবং টয়লেট তৈরি করার অনুমতি দেওয়া।”

গডকরি যোগ করেছেন, এই ব্যবস্থার ফলে যেমন এই হোটেল মালিকদের আয়ের উর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি পাবে, একইসাথে দেশে ফুয়েল স্টেশনের সংখ্যাও বাড়বে। তবে তিনি বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশন তৈরির কথা উল্লেখ করেননি। দেশে যেভাবে ইলেকট্রিক গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে আগামী দিনে এই বিষয়টিকে প্রধান্য দেওয়া হতে পারে। প্রসঙ্গত, আগামী চার বছরে দেশে দু’লক্ষ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক বাড়ানোর যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে উপরিউক্ত পদক্ষেপটি এক্ষেত্রে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

সঙ্গে থাকুন ➥