বহু জল্পনার পর গত মাসের শেষ দিকে, ৪৪ বিলিয়ন ডলারের (প্রায় ৩৩,৬৭২ কোটি টাকার) বিনিময়ে মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম Twitter (টুইটার) কিনেছেন Tesla (টেসলা) কর্ণধার ইলন মাস্ক (Elon Musk)। স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয়টির বড়সড় প্রভাব পড়েছে টেক দুনিয়ায়। কিন্তু সম্প্রতি এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট অধিগ্রহণ নিয়ে যে সমস্ত ঘটনার ঘনঘটা হচ্ছে, তাতে করে নেটিজেনরা বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতির সাক্ষী থাকবেন বলে মনে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, Twitter-এর ভবিষ্যত কী হবে – সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আসলে Twitter কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্বের ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে, যা সম্পন্ন হতে কয়েক মাস সময় লাগবে। এদিকে এই সময় কার্যকর হওয়ার আগেই চুক্তিটি প্রতিদিনের বিতর্কের কারণ হয়ে উঠেছে। এমনকি এবার সংস্থার শেয়ারহোল্ডাররা মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করে বসেছেন। কিন্তু কেন এত গন্ডগোল?
মাস্কের কারণে কমছে Twitter-এর শেয়ার
টুইটারের মালিকানা হস্তান্তর অনেকটা কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোনোর মত অবস্থায় দাঁড়িয়েছে! আসলে বহু টাকা ব্যয় করে প্ল্যাটফর্মটি কিনলেও ইলন মাস্ক এখন নতুন ভাবনা ভাবছেন। গত সপ্তাহে তিনি বলেছেন যে, টুইটার প্ল্যাটফর্মে বিদ্যমান স্প্যাম অ্যাকাউন্টের তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর তরফে এটিকে অধিগ্রহণ করা হবে না। এছাড়াও মাস্ক তার অনেক টুইটে দাবি করেছেন যে, অনেক অ্যাকাউন্ট বটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই সমস্ত বিষয় থেকে তিনি টুইটারকে স্বচ্ছ রাখার কথা বলেছেন। আর তাঁর বক্তব্য প্রকাশের পর থেকেই সংস্থার শেয়ারের দাম কমতে দেখা গেছে।
সেক্ষেত্রে টুইটারের শেয়ারহোল্ডারদের অভিযোগ এটাই যে, মাস্কের কারণেই শেয়ারের দাম ক্রমাগত কমছে। তাঁদের মতে, মাস্ক, ৪৪ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন এবং টুইটার আরো কম দামে কিনতে চাইছেন; আর এই কারণেই তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে সংস্থার শেয়ারের দাম কমানোর চেষ্টা করছেন। এছাড়া ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে চুক্তির বিষয়ে বেশ কিছু সন্দেহজনক বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। সবমিলিয়ে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার জন্য একজন শেয়ারহোল্ডার সান ফ্রান্সিসকোর ফেডারেল আদালতে আবেদন করেছেন।
Twitter-এর বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছেন জ্যাক ডরসি
বিশ্বের জনপ্রিয় মাইক্রো-ব্লগিং সাইটটি যে এখন দোলাচলের মধ্যে রয়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আসলে মালিকানা বদল নিয়ে অস্বস্তি রয়েছেই, এরই মধ্যে সম্প্রতি টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডরসি সংস্থার বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছেন। এই পদত্যাগের পর টুইটারের সঙ্গে ডরসির সম্পর্ক একেবারেই শেষ হয়ে গেছে, তার সাথে কোম্পানি এবং টুইটারপ্রেমীদের আশাভঙ্গও হয়েছে!