স্ট্যান্ড ছাড়াই সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে বাইক, সেলফ-ব্যালেন্সিং প্রযুক্তির কামাল দেখাল Honda

Avatar

Published on:

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা এখন নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার। কখনও হালকা চোট লাগলেও, অনেক ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনা প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়। মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্ৰণ হারিয়ে ধাক্কা মেরে তাৎক্ষণিক মৃত্যু অথবা চিরকালের মতো পঙ্গু হয়ে যাওয়ার বহু ঘটনা আমরা সংবাদমাধ্যমে পড়ছি এবং জনমুখে শুনছি। বিশেষ করে ভারী মোটরবাইক প্রচন্ড গতিতে বা কাত করে চালাতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাওয়ার প্রবণতা কমবয়সী বা নতুন রাইডারদের মধ্যে বেশি লক্ষ্য করা যায়।

পথ দুর্ঘটনায় বাইক ও স্কুটার আরোহী বা চালকের গুরুতর আঘাত বা মৃত্যুর ঘটনা পাল্লা দিয়ে বাড়ার ফলে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা যায় কিনা, সেই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভাবনা চিন্তা করেছে বিভিন্ন নামজাদা টু-হুইলার প্রস্তুতকারী সংস্থা। সেলফ-ব্যালেন্সিং (self-balancing) অর্থাৎ টলে পড়ে যাবে না। স্ট্যান্ড ছাড়াই আপনাআপনিই ভারসাম্য বজায় রেখে সোজা হয়ে থাকতে সক্ষম এমন মোটরসাইকেল প্রযুক্তিতে এবার বড়সড় সাফল্যের দাবি করল হন্ডা (Honda)।

হন্ডা সেলফ-ব্যালেন্সিং মোটরসাইকেল (Honda Self-balancing Motorcycle)

বিগত কয়েকবছর ধরে দু’চাকা আরোহীদের অতিরিক্ত সুরক্ষাকবচ দিতে সেলফ-ব্যালেন্সিং প্রযুক্তির উপর কাজ করছে হন্ডা। সংস্থার প্রথম ব্যালেন্স কন্ট্রোলিং বাইক যা হন্ডা রাইডিং অ্যাসিস্ট কনসেপ্ট (Honda Riding Assist concept) হিসেবে বেশি পরিচিত, আত্মপ্রকাশ করেছিল ২০১৭-এর কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স শো বা সিইএস (CES)-এ। চার বছর কেটে যাওয়ার পর হোন্ডা তার পরবর্তী প্রজন্মের সেলফ-রাইটিং রাইডিং অ্যাসিস্ট (Self-Righting riding assist) প্রযুক্তি প্রদর্শন করল।

হন্ডার এই সিস্টেমে একটি জাইরোস্কোপ ব্যবহৃত হয়েছে, যা সুইংআর্মের উপর এবং ফ্রন্ট এন্ডে কাজ করে বাইকটিকে সোজা রাখে, কাত হয়ে পড়ে যেতে দেয় না। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সেলফ-ব্যালেন্সিং ফিচারসুক্ত হন্ডার এক ক্রুজার বাইকের পিছনের চাকা স্ট্যান্ড ছাড়াই ফর্কের সাহায্যে কীভাবে একটু বাম দিকে আবার সামান্য ডান দিকে হেলে ভারসাম্য বজার রেখে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এখনও পর্যন্ত প্রযুক্তিটির কেবলমাত্র প্রোটোটাইপ বানানো হয়েছে। কবে বাণিজ্যিক ভাবে বানানো হবে তা অজানা।

সেলফ-ব্যালেন্সিং মোটরসাইকেলের কি সত্যিই প্রয়োজন (is Self Balancing Motorcycle really needed)

যদি আপনি নতুন রাইডার হন তাহলে সেলফ-ব্যালেন্সিং মোটরসাইকেল আপনার কাছে আর্শীবাদ হয়ে উঠতে পারে। শুধুমাত্র নিরাপত্তা বা সুরক্ষা বলে নয়, ভারী মোটরসাইকেলের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রেও কাজে আসবে এই প্রযুক্তি। দুর্ঘটনার সংখ্যাও কিছুটা কমে আসতে পারে। আবার ট্রাফিক জামের মধ্যে পড়লেও এই প্রযুক্তির উপযোগিতা কাজে লাগবে। ভারসাম্য রাখার জন্য পায়ের কাজও কমে যাবে।

সঙ্গে থাকুন ➥