Emergency Alert: স্মার্টফোন মানেই গাদাগুচ্ছের নোটিফিকেশন – অধিকাংশ সময়েই ফোনের সিস্টেম এবং বিভিন্ন অ্যাপ সংক্রান্ত আপডেট স্ট্যাটাস বারে নোটিফিকেশন আকারে উপলব্ধ হয়, আবার কখনও কখনও টেলিকম অপারেটরের পুশ মেসেজগুলি ইন-স্ক্রিন নোটিফিকেশন হিসেবে স্ক্রিনে ভেসে ওঠে। তবে আজ দেশ জুড়ে (বিশেষ করে ভারতের পুণে, মুম্বই প্রভৃতি শহরে) অনেক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী কেন্দ্রীয় টেলিকম বিভাগের নামে এমনই একটি ‘এম্যার্জেন্সি অ্যালার্ট’ (Emergency Alert) নোটিফিকেশন পেয়েছেন, যার জেরে জনমানসে দুশ্চিন্তা তথা অস্বস্তির উদ্রেক হয়েছে।
ফোনে ঠিক কী নোটিফিকেশন এসেছে?
আজ বৃহস্পতিবার সকাল দশটা থেকে সাড়ে দশটার দিকে হঠাৎ করে অনেক স্মার্টফোন ইউজারের ডিভাইসে কয়েক সেকেন্ড ধরে অ্যালার্মের মতো জোরে নোটিফিকেশনের শব্দ বাজতে থাকে। এরপর মোবাইলের স্ক্রিনে একটি মেসেজ ভেসে ওঠে, যার মর্মার্থ এই যে – মেসেজটি ভারত সরকারের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের এম্যার্জেন্সি অ্যালার্ট সার্ভিসের অংশ। উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে ইংরেজী এবং মারাঠি – দুটি ভাষায় নোটিফিকেশন ফোন এসেছে, যারপর আবার অনেকে আবার এই একই মেসেজ ভয়েস মেইল আকারে শুনতে পেয়েছেন।
মজার ব্যাপার হল, এই মেসেজ সমস্ত অ্যান্ড্রয়েড (An) হ্যান্ডসেট দেখা গেলেও অ্যাপল আইফোনে (Apple iPhone) এমন কোনো সতর্কতা পাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে এই মেসেজ ফোনে আসার পর অনেকে স্বভাবতই বিষয়টি নিয়ে কৌতুহলী হয়ে পড়েন, আবার কারো কারো মনে প্রশ্ন আসে যে এই মেসেজ কি সত্যিই সরকারের কাছ থেকে এসেছে? কারণ সরকারের তরফ থেকে আগে এরকম কোনো সূচনা দেওয়া হয়নি, তাছাড়া মেসেজ নোটিফিকেশন আসার পর কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক বা পিআইবি (PIB)-ও এই বিষয়ে মুখ খোলেনি।
চিন্তার কারণ নেই!
এমতাবস্থায় আপনি যদি এরকম কোনো মেসেজ পেয়ে থাকেন, তাহলে চিন্তার প্রয়োজন নেই। আসলে এই মেসেজ সরকারের কাছ থেকে আসেনি, বরঞ্চ শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটর রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) পরীক্ষামূলকভাবে এমনটা ঘটিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে যে, জরুরি সময়ে বা পরিস্থিতিতে একই সাথে দেশের সমস্ত নাগরিককে অ্যালার্ট করা যায় কিনা তা পরীক্ষা করে দেখার জন্যই তারা টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের হয়ে এই মেসেজ সেন্ড করেছিল। আগামীদিনে এরকম আরও মেসেজ নোটিফিকেশন ফোনে আসতে পারে…