পরিবেশ দূষণ ও জ্বালানি তেলের অগ্নিমূল্য থেকে রেহাই পেতে বহু মানুষ বৈদ্যুতিক যানবাহনের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। কিন্তু একথা সর্বজনবিদিত যে, একটি প্রথাগত জ্বালানির যানবাহনের চাইতে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম বেশি। ফলে ব্যাটারি চালিত গাড়ি কিনতে এগিয়ে গিয়েও পিছপা হচ্ছেন বহু গ্রাহক। এই সমস্যা খানিকটা লাঘব করতে এবারে ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম কমাতে এতে ব্যবহৃত লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির উপর গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বা জিএসটি (GST) কমানো হতে পারে। যদি তা বাস্তবায়িত হয়, তবে এই জাতীয় যানবাহনের সার্বিক মূল্য কমবে।
বৈদ্যুতিক গাড়িতে সারবস্তু হল তার ব্যাটারি। যার দামের উপর গাড়ির দর অনেকটাই নির্ভরশীল। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে এবং ব্যাটারি সোয়াপিং পলিসি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নীতি আয়োগ (NITI Aayog), পুনর্নবীকরণ শক্তি মন্ত্রক, ভারী শিল্প মন্ত্রক এবং অন্যান্য সরকারী দপ্তরের সাথে বৈঠক হয়। সেখানে বৈদ্যুতিক ব্যাটারির উপর ধার্য করের বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়। জানা গেছে, এ বিষয়ে পুনর্বিবেচনার জন্য জিএসটি কাউন্সিলকে একটি খসড়া নীতি পাঠিয়েছে নীতি আয়োগ।
উক্ত খসড়া নীতিতে উল্লেখ রয়েছে, বর্তমান জিএসটি অনুযায়ী, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের উপর যথাক্রমে ১৮% ও ৫% কর ধার্য রয়েছে। এই দুই করের হার কমানোর বিষয়ে জিএসটি কাউন্সিলকে পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী প্রয়োজন মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাতে।
বর্তমানে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির উপর ১৮% জিএসটি নেওয়া হয়। ২০১৮ সালে সেটি ছিল ২৮%। করের এই পরিমাণ কেন্দ্র ৫% কমানোর পথে হাঁটতে চলেছে বলে খবর। একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির দামের ২৫-৩৫% ব্যাটারির খরচ। ফলে ব্যাটারির উপর কর হ্রাস করলে গাড়ির মূল্যও যে কমবে, তা বলাই বাহুল্য।