Jio ও Airtel এর 5G নেটওয়ার্কের মধ্যে পার্থক্য কী, জেনে নিন কোনটি সেরা হবে

Published on:

বেশ কয়েক বছর আগে (২০১৪ সালে) লঞ্চ হলেও 4G (৪জি) নেটওয়ার্ক নিয়ে এখনও মানুষের মধ্যে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে দেশের প্রথম সারির টেলিকম অপারেটরেরা দ্রুত 5G (৫জি) পরিষেবা চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের আপামর জনগণও 5G রোলআউটের আশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনারা জানলে খুশি হবেন যে, রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) এবং ভারতী এয়ারটেল (Bharati Airtel) সম্প্রতি 5G ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে। সেইসাথে জানা গেছে যে, টেলিকম সংস্থা দুটি খুব শীঘ্রই দেশজুড়ে 5G পরিষেবা চালু করতে চলেছে।

তবে আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি, জিও এবং এয়ারটেল দুটি কোম্পানিই কিন্তু একে অপরের থেকে একেবারে অন্যভাবে কাজ করছে। একদিকে এয়ারটেল যেখানে নন স্ট্যান্ড অ্যালোন ৫জি নেটওয়ার্কের উপর নির্ভর করে, সেখানে জিও স্ট্যান্ড অ্যালোন ৫জি নেটওয়ার্কে কাজ করছে। দুজনের টেকনিকে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। এখন আপনাদের নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে যে এই জিনিসগুলি কী এবং কোন পদ্ধতিতে কাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে? আসুন তাহলে বিষয়টির সম্পর্কে একটু বিশদে জেনে নেওয়া যাক।

Non Stand Alone 5G নেটওয়ার্ক কী?

সহজভাবে বলতে গেলে, যে নেটওয়ার্কটিকে দাঁড় করানোর জন্য (অর্থাৎ কার্যক্ষম করার জন্য) একটি 4G নেটওয়ার্কের প্রয়োজন হয়, তাকে নন স্ট্যান্ড অ্যালোন 5G নেটওয়ার্ক বলা হয়। অর্থাৎ সোজা কথায়, এই প্রক্রিয়াটি পুরোপুরিভাবে 4G নেটওয়ার্কের উপর নির্ভরশীল। এটিতে 4G LTE-এর EPC (Evolved Packet Core)-কে 5G টাওয়ারের নিউ রেডিও (NR)-এর সাথে কানেক্ট করা হয়। অর্থাৎ, নন স্ট্যান্ড অ্যালোন 5G টাওয়ার, 4G-এর EPC-এর ওপর নির্ভর করে কাজ করে, এবং এইভাবেই 5G কানেক্টিভিটি প্রদান করবে।

Stand Alone 5G নেটওয়ার্ক কী?

স্ট্যান্ড অ্যালোন 5G নেটওয়ার্ক কোনোভাবেই 4G নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে কাজ করে না। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে 5G-এর টাওয়ারটি 5G-এর EPC-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটি এমন একটি 5G নেটওয়ার্ক যা 4G-এর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটি তৈরি করতে অনেক টাকা খরচ হয়।

এয়ারটেল এবং জিও-র ৫জি-র মধ্যে সেরা কে?

স্ট্যান্ড অ্যালোন এবং নন স্ট্যান্ড অ্যালোন উভয় নেটওয়ার্কই সেরা। জিও সরাসরি স্ট্যান্ড অ্যালোন নেটওয়ার্কে ব্যয় করছে। অন্যদিকে, এয়ারটেল প্রথমে নন স্ট্যান্ড অ্যালোন নেটওয়ার্ক তৈরি করছে এবং পরবর্তীকালে স্ট্যান্ড অ্যালোন নেটওয়ার্কে শিফট করবে, কারণ সংস্থাটি ইতিমধ্যেই ৪জি নেটওয়ার্কের জন্য প্রচুর পরিমাণ টাকা ব্যয় করে ফেলেছে। স্ট্যান্ড অ্যালোন ৫জি নেটওয়ার্ক কোনো লাইভ অপারেশন, স্মার্ট সিটি, বা ড্রাইভারলেস কারের মতো প্রযুক্তির জন্য অপরিহার্য। সেক্ষেত্রে ভারতে ড্রাইভারলেস কারের মতো প্রযুক্তি চালু হওয়ার আগেই এয়ারটেল সম্পূর্ণভাবে স্ট্যান্ড অ্যালোন নেটওয়ার্কে শিফট করে যাবে।

উল্লেখ্য যে, লো-ব্যান্ড 5G, মিড-ব্যান্ড 5G এবং Sub 6-গিগাহার্টজ 5G ব্যান্ডের ওপর কাজ করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম সংস্থা Reliance Jio। একইসাথে অত্যন্ত দ্রুতগতির ইন্টারনেটের জন্য অপরিহার্য mmWave 5G ব্যান্ড নিয়েও কাজ করছে কোম্পানিটি। অন্যদিকে Airtel লো-ব্যান্ড 5G নিয়ে কাজ করছে। Airtel সম্প্রতি 4G হার্ডওয়্যার সহ নন স্ট্যান্ড অ্যালোন নেটওয়ার্কে লো-ব্যান্ড 5G নেটওয়ার্কের একটি লাইভ ডেমো দিয়েছে, তবে mmWave 5G ব্যান্ড ব্যবহার করার প্রসঙ্গে সংস্থার তরফ থেকে কিছু জানা যায়নি। আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি, Airtel, Ericsson-এর সাথে 5G চালু করার জন্য কাজ করছে। অপরদিকে 5G নেটওয়ার্ককে ডেভেলপ করার জন্য Jio, Qualcomm-এর সাথে এবং Vi, Nokia-র সাথে অংশীদারিত্ব করেছে।

সঙ্গে থাকুন ➥