শুধু ইলেকট্রিক ভেহিকেল নয়, দূষণ কমাতে এই ধরনের গাড়িও বাজারে আনতে চায় Maruti Suzuki

Avatar

Published on:

যেখানে পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ মহল এবং বিশ্বের প্রায় সকল দেশের সরকার ব্যাটারি চালিত যানবাহন প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে, সেখানে সম্পূর্ণ ভিন্ন সুর শোনা গেল ভারতের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)-র গলায়। বৈদ্যুতিক যানবাহন দূষণ রোখার একমাত্র হাতিয়ার, তা মানতে নারাজ সংস্থা। তবে পরিবেশ দূষণ কমাতে কোন উপায়ের উপর ভরসা রাখছে ইন্দো-জাপানি সংস্থাটি? তাদের বক্তব্য, হাইব্রিড প্রযুক্তি, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং বায়ো ফুয়েল চালিত গাড়ি বৈদ্যুতিকের চেয়ে আরও ভাল বিকল্প। কারণ এখনও ভারতে ৭৫% বিদ্যুৎ কয়লা পুড়িয়ে উৎপাদন করা হয়।

এক সাক্ষাৎকারে মারুতি সুজুকির চেয়ারম্যান আরসি ভার্গভ দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রসঙ্গ উত্থাপিত করে বলেন, যত পরিমাণ বিদ্যুৎ ভারতে তৈরি হয় কার্বনের নিঃসরণ রোখার জন্য সেটি সঠিক পদ্ধতি নয়। যতদিন না আমরা পরিবেশবান্ধব গ্রিড পাওয়ার করতে পারছি, ততদিন প্রাকৃতিক গ্যাস, ইথানল, হাইব্রিড এবং বায়োগ্যাসের ব্যবহার সুরাহা দিতে পারে বলে জানান ভার্গভ। তিনি মনে করেন, উল্লিখিত জ্বালানি ব্যবহার দেশে ক্ষতিকর গ্যাসের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনবে।

এর আগে মারুতি সুজুকি জানিয়েছিল, এক বছরের মধ্যে তারা তাদের প্রথম হাইব্রিড গাড়ি (জীবাশ্ম জ্বালানি + বৈদ্যুতিক শক্তিতে চলে) টয়োটার সাথে যৌথভাবে বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে। তখনও ভার্গভ বলেছিলেন, ইলেকট্রিক গাড়ির চাইতে হাইব্রিড গাড়ি বেশি কার্যকর। কারণ ভারতে এই ধরনের গাড়ি চার্জ দেওয়ার কেন্দ্রের যথেষ্ট অভাব। ভার্গভ মনে করেন, “যানবাহনের মধ্যে বৃহৎ পরিমাণে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি হবে না। অন্যান্য সংস্থাগুলি যেমনটা ভাবছে অথবা বলছে, তেমনটা হওয়ার নয়।”

ভার্গভের কথায় ভারতে পরিবেশবান্ধব যানবাহনের বিক্রির গতি ত্বরান্বিত হতে সময় লাগবে। এদিকে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে শীর্ষস্থান দখলের উদ্দেশ্যে একাধিক ব্যাটারি চালিত মডেল বাজারে আনার পরিকল্পনার কথা এপ্রিলে ঘোষণা করেছিল মারুতি সুজুকি। দেশেব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়লে নিজেদের কারখানায় তা উৎপাদন করা হবে বলে জানিয়েছিল। বলা হয়েছিল, গুজরাতের কারখানায় তৈরি করে ২০২৫-এর মধ্যে মারুতি সুজুকি তাদের প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি লঞ্চ করবে।

সঙ্গে থাকুন ➥