শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও Reliance Jio -র পরিষেবা দিন দিন উন্নত হচ্ছে। এই কারণে পশ্চিমবঙ্গে টেলিকম সংস্থাটির ইউজারবেস অনেকটাই বেশি। তবে সম্প্রতি পশ্চিমবাংলার জিও ইউজারদের আরো খুশি হওয়ার কারণ সামনে এসেছে। আসলে এবার, আমাদের প্রিয় পর্যটনকেন্দ্র দিঘায় তৈরি করা হবে জিওর ডেটা হাব ও বিশাল কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন। ফলে ইউজাররা হাই-স্পিড ইন্টারনেট উপভোগ করতে তো পারবেনই, পাশাপাশি এই কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন ইউরোপীয় ও এশীয় দেশগুলির সাথে রাজ্যের যোগাযোগ বাড়াবে। বাড়বে রাজ্যের বিনিয়োগও।
গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়টি জানিয়ে বলেছেন, সরকার রিলায়েন্স জিও সংস্থাকে তাদের ল্যান্ডিং স্টেশন এবং হাব তৈরির জন্য অনুমতি দিয়েছে এবং এই প্রকল্পের জন্য জমি বরাদ্দ করেছে। এই কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনটি তৈরিতে ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে মুকেশ আম্বানির সংস্থাটি।
বৈঠকে উপস্থিত শীর্ষ সরকারী আধিকারিকরা আশা করছেন, এই কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনটি পশ্চিমবঙ্গকে একটি বড় IT এবং ITES হাবে পরিণত করবে। এছাড়াও বাড়বে রাজ্যের কর্মসংস্থান। এছাড়া এটি প্রতিবেশী দেশগুলির এবং আন্তর্জাতিক কেবলের সাথে টেলিকমিউনিকেশন লিঙ্ক স্থাপন করবে। পাশাপাশি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পোর্ট ব্লেয়ার সহ পুরো পূর্ব অঞ্চল এই স্টেশনটি থেকে উপকৃত হবে।
আপাতত, চেন্নাই, কোচি, মুম্বাইয়ের মত বড় শহরে এই জাতীয় স্টেশন রয়েছে। সংস্থার দাবি, পশ্চিমবঙ্গে কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি হলে পূর্ব ভারতের অঞ্চলেগুলিতে ইন্টারনেটের গতি অনেকটাই বাড়বে। আবার পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে লগ্নি অনেকটাই বাড়বে।
তবে শুধু বিশ্বমানের কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার মেদিনীপুর জেলায় একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমনটাও শোনা গিয়েছে। কেন্দ্র সরকারের অনুমোদন পেলেই তাজপুরে তৈরি হবে গভীর সমুদ্র বন্দর।