HomeTech NewsVivo Y35: ভিভো‌ ফোনে এবার স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসর, Geekbench সহ দেখা গেল...

Vivo Y35: ভিভো‌ ফোনে এবার স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসর, Geekbench সহ দেখা গেল একাধিক সার্টিফিকেশন সাইটে

ভিভো ওয়াই৩৫ স্মার্টফোনকে EEC, TKDN এবং ইন্দোনেশিয়া টেলিকম সার্টিফিকেশন ওয়েবসাইট সহ একাধিক সার্টিফিকেশন পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে

Vivo -র একটি নয়া স্মার্টফোনকে সম্প্রতি একাধিক বেঞ্চমার্কিং এবং সার্টিফিকেশন ওয়েবসাইটে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। ‘ইন্দোনেশিয়া টেলিকম সার্টিফিকেশন’ ওয়েবসাইটে ভি২২০৫ (V2205) মডেল নম্বরের সাথে হালফিলে একটি মডেল স্পট করা হয়েছিল, যা Vivo Y35 নামে আত্মপ্রকাশ করতে পারে বলে‌ জানা গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, এই একই মডেল নম্বর সহ বেঞ্চমার্কিং সাইট গিকবেঞ্চে (Geekbench) -ও স্মার্টফোনটিকে দেখা গেছে। এছাড়া, Vivo সংস্থার এই আসন্ন হ্যান্ডসেটটি হালফিলে TKDN এবং EEC সার্টিফিকেশন ওয়েবসাইট দ্বারা অনুমোদন প্রাপ্ত হয়েছে বলেও জানতে পেরেছি আমরা। প্রসঙ্গত, গিকবেঞ্চে তালিকাভুক্ত হওয়ার দরুন আলোচ্য ফোনটির একাধিক কী-ফিচার প্রকাশ্যে এসেছে। যেমন, Vivo Y35 ফোনটি অক্টা কোর কোয়ালকম চিপসেট দ্বারা চালিত হবে বলে বেঞ্চমার্কিং সাইটটি নিশ্চিত করেছে।

একাধিক সার্টিফিকেশন এবং বেঞ্চমার্কিং ওয়েবসাইটে দেখা গেল Vivo Y35 স্মার্টফোনকে

মাইস্মার্টপ্রাইজ (MySmartPrice) -এর একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, ভিভো ওয়াই৩৫ স্মার্টফোনকে EEC, TKDN এবং ইন্দোনেশিয়া টেলিকম সার্টিফিকেশন ওয়েবসাইট সহ একাধিক সার্টিফিকেশন পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিটি সাইটেই এই ফোনটি ভি২২০৫ (V2205) মডেল নম্বর সহ তালিকাভুক্ত ছিল। তবে, ইন্দোনেশিয়া টেলিকম সার্টিফিকেশনের লিস্টিং নিশ্চিত করেছে যে ভিভোর এই আসন্ন হ্যান্ডসেটটি ভিভো ওয়াই৩৫ (Vivo Y35) নামে বাজারজাত হবে।

সার্টিফিকেশন সাইটের পাশাপাশি বেঞ্চমার্কিং প্ল্যাটফর্ম গিকবেঞ্চেও অনুরূপ মডেল নম্বর সহ ভিভো ওয়াই৩৫ -কে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। উক্ত সাইটের লিস্টিং অনুসারে, এই হ্যান্ডসেটটি কোয়ালকমের একটি অক্টা-কোর চিপসেট দ্বারা চালিত হতে পারে, যার বেস ক্লক স্পিড ১.৯ গিগাহার্টজ এবং সর্বাধিক ক্লক স্পিড ২.৪ গিগাহার্টজ হবে। এক্ষেত্রে এই প্রসেসরটি হয়তো কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ হতে পারে, যার সাথে সম্ভবত অ্যাড্রেনো ৬১০ জিপিইউ ব্যবহৃত হবে। জানিয়ে রাখি, এই একই চিপসেট সম্প্রতি ভারতে লঞ্চ হওয়া Vivo T1x ফোনেও আছে।

গিকবেঞ্চের লিস্টিং থেকে আরও জানা গেছে যে, ওয়াই-সিরিজের এই আপকামিং মডেলটি অ্যান্ড্রয়েড ১২ ভিত্তিক ফানটাচ ওএস ১২ (FunTouch OS 12) কাস্টম ইউজার ইন্টারফেসে রান করবে। আর এতে ৪ জিবি র‌্যাম উপস্থিত থাকবে। যদিও আরেকটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ডিভাইসটি একাধিক র‌্যাম ও স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টে লঞ্চ হতে পারে। যাইহোক, ভিভোর বিকশিত এই স্মার্টফোন সিঙ্গেল-কোর টেস্টে ১,৭৮৮ স্কোর এবং মাল্টি-কোর পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে ৫,৯৭২ স্কোর করেছে বলেও জানা গেছে।

আবার, TKDN সার্টিফিকেশন ওয়েবসাইটের লিস্টিং অনুয়ায়ী, ভিভো ভি৩৫ -এ ৪জি এফডিডি (4G FDD) এবং ৪জি এলটিই (4G LTE) কানেক্টিভিটি বিকল্প বিদ্যমান থাকবে। রিপোর্টে আরো যোগ করা হয়েছে যে, বিদ্যমান Vivo Y33 -এর উত্তরসূরি হিসেবে আলোচ্য ডিভাইসটি আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। আর যেহেতু এটিকে সম্প্রতি একাধিক সার্টিফিকেশন ও বেঞ্চমার্কিং ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, সেহেতু খুব শীঘ্রই হয়তো ভিভো তাদের এই লেটেস্ট ফোনকে লঞ্চ করতে পারে।

উল্লেখিত তথ্যাদি বাদে ভিভো ভি৩৫ ফোন সম্পর্কে আর কিছু জানা সম্ভব হয়নি। তবে লঞ্চের সময় যত ঘনিয়ে আসবে, ততই এই হ্যান্ডসেটের ফিচার প্রসঙ্গে নিত্যনতুন বিশদ সামনে আসবে বলে আমরা আশা রাখছি।

RELATED ARTICLES

Most Popular