HomeAutomobileYamaha RX 100 থেকে Hero Honda Karizma, যে পাঁচটি বাইকের স্মৃতিতে আজও...

Yamaha RX 100 থেকে Hero Honda Karizma, যে পাঁচটি বাইকের স্মৃতিতে আজও মশগুল আমরা

‘ওল্ড ইজ গোল্ড।’ বাস্তবে তো বটেই, বাইকের দুনিয়াতেও কথাটি ধ্রুবসত্য। হয়তো আধুনিকতার ছাপ নেই, ফিচারের দিক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে পিছিয়ে। তা সত্বেও দেশের বাজারে এমন কিছু বাইক আছে, যাদের বিক্রি আজও চোখে পড়ার মতো‌। বাইকপ্রেমীদের মনের খুব কাছে সেই মডেলগুলি‌ অন্য দিকে, এ দেশে এমন বেশ কিছু বাইকের অস্তিত্ব ছিল, যারা অনেক দিক আগেই বাজার থেকে হারিয়ে গিয়েছে‌। তাও সেগুলির প্রতি মানুষের নস্টালজিয়া যেন আজও অক্ষত। আজকের প্রতিবেদনে তেমনি পাঁচটি চিরস্মরণীয় বাইকের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হল।

রয়্যাল ইনফিল্ড বুলেট (Royal Enfield Bullet)

শক্তি এবং গতির জন্য Royal Enfield Bullet বহু মানুষের হৃদয়ে পাকাপাকি স্থান করে নিয়েছে। ৩৫০ সিসি-র ইঞ্জিনের জন্য বাইকটি সুপরিচিত। তবে যে বিষয়টি একে জগৎজোড়া সুখ্যাতি এনে দিয়েছে, তা হল গুরুগম্ভীর আওয়াজ। ইঞ্জিনের আওয়াজে একটি রাজকীয় ব্যাপার রয়েছে। মাদ্রাজ বাইক কোম্পানির সাথে ১৯৫৫ সালে হাত মেলানোর পর Royal Enfield ভারতে ব্যবসা শুরু করে। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত বুলেটপ্রেমীদের সংখ্যাটি বেড়েই চলেছে।

হিরো হন্ডা স্প্লেন্ডার (Hero Honda Splendor)

একসময় হিরো হন্ডা সিডি ১০০ (Hero Honda CD 100) এর পিঠে সওয়ারি হয়ে কত মানুষ তাদের জীবন অতিবাহিত করেছেন। অতি সাধের পথ চলার সঙ্গীটিকে হাতছাড়া করতে চাননি অনেকেই। এর কারণ বাইকটির মাইলেজ যেমন বেশি ছিল, তেমন ছিল হালকা ও আরামদায়ক সওয়ারি। যার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বাজারে এসেছিল Hero Honda Splendor। অবিশ্বাস্য ভাবে নতুন প্রজন্মের মডেলটিও মানুষের কাছে অতি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। Splendor-এর হাতের নাগালে দাম এবং উচ্চ মাইলেজের কারণে আজও এটি দেশের সর্বাধিক বিক্রিত বাইক।

ইয়ামাহা আরএক্স ১০০ (Yamaha RX 100)

Yamaha RX 100 আশির দশকে তরুণ প্রজন্মের হার্টথ্রব ছিল। ১৯৮৫ সালে ভারতের বাজারে লঞ্চ হয়েছিল এটি। বাইকটির ইঞ্জিন কনফিগারেশনের চাইতে বাস্তবে আরও বেশি শক্তিশালী ছিল। টু-স্ট্রোকের ইঞ্জিনটি থেকে ৮,৫০০ আরপিএম গতিতে ১১ হর্সপাওয়ার পাওয়া যেত। প্রাথমিক পর্যায়ে জাপান থেকে ভারতের বাজারে এগুলি রপ্তানি করা হতো। অসংখ্য অনুরাগী একে ‘ভিন্টেজ মডেল’ হিসেবে এখনও যত্ন করে রেখে দিয়েছেন। আবার রাস্তাতেও প্রায়সই দেখা মেলে বাইকটির।

বাজাজ পালসার (Bajaj Pulsar)

২০০১ সালে ভারতের বাজারে এসেছিল Bajaj Pulsar। সে সময় বেশি মাইলেজের বাইক নিয়ে আসার একটি ট্রেন্ড চলছিল। তখন দেশে হাই ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির মডেল বলতে একমাত্র ছিল কেবল Royal Enfield Bullet 350। কিন্তু বাজাজ এই ট্রেন্ডের বিপরীতে গিয়ে Pulsar লঞ্চ করেছিল বাজাজ৷ যা ঝড়ের বেগে বাজার দখল করে। স্পিডস্টারের মতো ছুটলেও বাইকটি দস্মুদ এবং কম্ফি ট্যুরারের মতো দেখতে ছিব। পরবর্তীতে একাধিক নতুন মডেলের পালসার হাজির হয়েছে বাজারে। যার জনপ্রিয়তা আজও এর প্রতিপক্ষ সংস্থাগুলিকে ভাবায়।

হিরো হন্ডা কারিজমা (Hero Honda Karizma)

সে যুগের উড়তি প্রজন্মের কাছে Hero Honda Karizma ছিল একটি স্বপ্নের বাইক। তালিকার সর্বশেষ স্থানে জায়গা পেলেও নস্টালজিয়ার দিক থেকে কোনো অংশে খামতি ছিল না বাইকটির। তবে দীর্ঘদিন নিজের বাজার ধরে রাখতে পারেনি Karizma। যার কারণ উচ্চমূল্য এবং কম মাইলেজ। বর্তমানে এটি রাস্তায় তেমন না চোখে পড়লেও বহু মানুষের হৃদয়ে আজও জায়গা দখল করে নিয়েছে৷

RELATED ARTICLES

Most Popular