Tata Motors এর ইলেকট্রিক গাড়ি ভাঙতে চলেছে যাবতীয় রেকর্ড, এপ্রিল-জুন পর্যন্ত লাফিয়ে বেড়েছে বিক্রি

চার চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে নিজের অবস্থান আরও পোক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে নামছে টাটা মোটরস (Tata Motors)। এই সেগমেন্টে সবচেয়ে বেশি দাপট অবশ্য তাদেরই। বিদেশী সংস্থাদের নাস্তানাবুদ করে ইলেকট্রিক ফোর হুইলার প্যাসেঞ্জার ভেহিকেল বিভাগে তারাই শীর্ষস্থানে। চলতি অর্থবর্ষের (২০২২-২৩) প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) ফের নিজের কামাল দেখাল টাটা। চলে গেল সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে।

ওই সময়ের মধ্যে ৯,৩০০টি ইলেকট্রিক গাড়ি বেচেছে টাটা। যা বিগত অর্থবর্ষের বিক্রিবাটার প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি বলা চলে! তাহলে আর বাকি নয় মাসে সংখ্যাটা কোথায় দাঁড়াবে, তা নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহ সংস্থার অন্দরমহলে। বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে রমরমার কারণে টাটা এখন দেশের তৃতীয় বৃহত্তম প্যাসেঞ্জার ভেহিকেল নির্মাতা। তাদের সামনে রয়েছে মারুতি সুজুকি ও হুন্ডাই। যদিও হুন্ডাইকে হালে তৃতীয় স্থানেও নামিয়ে দিয়েছিল টাটা।

বিগত কয়েক বছরে টাটা মোটর্সের ব্যাটারি পরিচালিত গাড়ি বিক্রি লাফিয়ে বেড়েছে। গত অর্থবর্ষে তারা বেচেছিল ১৯,১০৬টি বৈদ্যুতিক গাড়ি। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের তুলনায় বিক্রিতে চোখ ধাঁধানো ৩৫৩ শতাংশ উত্থান। আর এখন যে গতিতে টাটা এগোচ্ছে, তাতে শেষ ক’বছরের রেকর্ড ভেঙে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট মহল। এপ্রিল-জুনে টাটা কর্তৃক বিক্রিত ৭ শতাংশ গাড়িই বৈদ্যুতিক বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, টাটা এখন একটি ইলেকট্রিক সেডান ও তিনটি এসইউভি বিক্রি করে। বৈদ্যুতিক এসইউভিগুলির মধ্যে রয়েছে Nexon EV (স্ট্যান্ডার্ড), Nexon EV Max, ও Nexon EV Prime৷ দাম ১৫.৯১ লাখ থেকে ১৯.৪৬ লাখ টাকা। শেষের দুই ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ হয়েছে চলতি বছরে। আর ইলেকট্রিক সেডান সেগমেন্টে তাদের একমাত্র মডেল Tigor EV। দাম ১৩.৩৩ লাখ টাকা।