৫জি প্রযুক্তির দৌড়ে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে ভারত। ২০২২ সালের অক্টোবরের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৪.৬ লাখ বেস ট্রানসিভার স্টেশন স্থাপন কড়া হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৫জি ডাউনলোড স্পিডের বিচারে শীর্ষ ১৫টি দেশের মধ্যে জায়গা করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। কেন্দ্রের দাবি, খুব শিগগিরিই জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশজুড়ে উপলব্ধ হবে ৫জি নেটওয়ার্ক। এই প্রযুক্তির সফল বাস্তবায়নের পর ৬জি প্রযুক্তিতে দুনিয়াজুড়ে নেতৃত্ব দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র।
এদিন সেই প্রসঙ্গে বড় দাবি করলেন এরিকসন ইন্ডিয়ার এক শীর্ষকর্তা। এক সংবাদমাধ্যমের সাথে সাক্ষাৎকারে এরিকসন ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিতিন বানসাল বলেন, “এআর/ভিআর শপিং এবং ক্লাউড গেমিং থেকে শুরু করে ৩৬০-ডিগ্রি লাইভ স্ট্রিমিং পর্যন্ত, প্রযুক্তি সংযোগ এবং উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস (এফডব্লিউএ) গ্রামীণ এবং আধা-শহুরে এলাকায় উচ্চ-গতির ইন্টারনেট সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি করছে।”
তিনি আরও বলেন, “এআই, জেনারেটিভ এআই এবং নেটওয়ার্ক এপিআই-এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন চালানোর জন্য আমরা গবেষণা ও উন্নয়নে গভীরভাবে বিনিয়োগ করছি। চেন্নাই, বেঙ্গালুরু এবং গুরুগ্রামে আমাদের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রগুলি উন্নত ক্ষমতা বিকাশের জন্য সক্রিয়ভাবে ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ করছে। এর মধ্যে রয়েছে সুরক্ষিত নেটওয়ার্ক ইন্টারফেসের জন্য প্রোগ্রামেবল এপিআই সমাধান, সেইসাথে ডিভাইস ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা এবং জালিয়াতি শনাক্তকরণের মতো ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ব্যবহার।”
৬জি প্রযুক্তি প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, “ভারত ৬জি ভিশন এর মাধ্যমে ৬জি প্রযুক্তির নকশা, উন্নয়ন এবং স্থাপনার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার ভিত্তি স্থাপন করেছে।” রিপোর্ট বলছে, এরিকসন ২০৩০ সালের মধ্যে ৬জি রোলআউট শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করছে। তিনি জানান, “ইন্ডিয়া 6G” প্রোগ্রাম এই দৃষ্টিভঙ্গিতে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখছে, যার মধ্যে আমাদের চেন্নাই গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে অবস্থিত একটি ৬জি গবেষণা দলও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।”