Water in Petrol: পেট্রলে মেশানো হচ্ছে জল, ভেজাল জ্বালানি নিয়ে চিন্তায় গাড়ি মালিকেরা
একদিকে অর্থনীতিতে চরম সঙ্কটাপন্ন অবস্থা, অন্যদিকে জ্বালানির দাম মধ্য গগনে। এই অচলাবস্থার শিকার শ্রীলঙ্কাবাসী। গত ক’দিনে জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে বর্তমানে এক লিটার পেট্রোল ও ডিজেলের দর দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৪২০ টাকা ও ৪০০ টাকায়। গাড়িতে তেল ভরতে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দশা হচ্ছে আমজনতার। এহেন পরিস্থিতিতে স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে শ্রীলঙ্কার একাধিক পাম্প মালিকের বিরুদ্ধে জ্বালানি তেলে কেরোসিন, এমনকি জল মেশানোর মতো গুরুতর অভিযোগের কথা উঠে এসেছে।
শ্রীলঙ্কার ডেইলি মিররের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অসংখ্য গ্রাহক ফুয়েল স্টেশনের বিরুদ্ধে ভেজাল পেট্রোল এবং ডিজেল বিক্রির অভিযোগ আনছে। অনেকেই জানিয়েছেন, গাড়ির ট্যাঙ্কি ভর্তি করতে পাম্পে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ভেজাল তেল বর্তমানে একটি বড়সড় মাথা যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সে দেশে বিশেষত গ্রামাঞ্চলের তেলের পাম্পগুলিতে ভেজাল তেল বিক্রির রমরমা দেখা দিয়েছে। কারণ তেলের গুণগতমান খতিয়ে দেখা হচ্ছে না। দেশের জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিলন পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (CPC) গাড়ির চালকদের তেলের মান খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে CPC-র যাথিকা সেবক সঙ্ঘময়ের প্রধান সচিব আনন্দ পালিথা বলেন, “তেল খালাস করার আগে নমুনাস্বরূপ সেগুলি একটি স্বচ্ছ বোতলে ভরে দেখা উচিত। তেলে ভেজাল মেশানো হয়েছে সন্দেহ হলেই ট্যাঙ্ক ভরার আগে এটি করে দেখে নেওয়া উচিত।”
বর্তমানে সিপিসি-র নিজস্ব কোনো ফুয়েল রিজার্ভার না থাকায়, তেল শিপিং ভেসেল থেকে সরাসরি পাম্পগুলিতে পৌঁছায়। তাই সেগুলির মান খতিয়ে দেখার কোনো নিয়ামক তাদের হাতে নেই বলে জানিয়েছে সিপিসি। এখন বড় প্রশ্ন হচ্ছে, যদি কোন চালককে জ্বালানির ভেজাল পরীক্ষা করতে হয় সে ক্ষেত্রে গ্রাহকদের ১২ ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। যা বাস্তবে অসম্ভব। এদিকে খালি ট্যাঙ্কে ভেজাল তেল ভরা হলে গাড়ির ইঞ্জিনটি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।