3 লাখের মধ্যে সেরা 5 বাইক, দুর্ধর্ষ ফিচার্সের সঙ্গে পাবেন মন মাতানো পারফরম্যান্স
ভারতের টু হুইলারের বাজার বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম। ভারতীয়দের মোটরসাইকেলের প্রতি প্রেম এক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়তা করেছে। এদেশের বাজারে বিভিন্ন ধরনের বাইক উপলব্ধ। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এই বাইকগুলিতে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং ভরপুর ফিচার্স। কিন্তু একটু বেশি পারফরম্যান্স ও ফিচার্সের দিকে চোখ গেলেই মডেলের দাম কখন যে চার-পাঁচ লাখের গন্ডি পার করে যায়, তা খেয়াল থাকে না। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে ৩ লাখের মধ্যে ফিচারে ঠাসা সেরা চারটি মোটরসাইকেলের সন্ধান দেওয়া হল।
Royal Enfield Himalayan 450
২.৮৫ লাখ থেকে ২.৯৮ লাখ টাকা এক্স-শোরুম মূল্যে ভারতের বাজারে উপলব্ধ রয়েছে Royal Enfield Himalayan 450। অ্যাডভেঞ্চারের জন্য বাইকটির কোন তুলনা হয় না। বাইকটির বিশেষ ফিচার্সের তালিকায় আছে অল এলইডি লাইটিং, ডে/নাইট মোড সহ একটি ৪ ইঞ্চি টিএফটি ডিসপ্লে এবং ব্লুটুথ গুগল ম্যাপ ইন্টিগ্রেশন। এছাড়া মিলবে দুটি রাইডিং মোড, অ্যাসিস্ট স্লিপার ক্লাচ, নতুন সুইচ গিয়ার এবং ইউএসবি পোর্ট।
TVS Apache RR 310
TVS Apache RR 310 কিনতে গেলে খরচ পড়ে ২.৭২ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম)। স্পোর্টস বাইকটিতে ফিচার্স হিসেবে দেওয়া হয়েছে SmartXonnect ব্লুটুথ সহ ৫-ইঞ্চি টিএফটি ডিসপ্লে, এখানে কল ও এসএমএস অ্যালার্ট এবং টার্ন বাই টার্ন নেভিগেশনের সুবিধা বর্তমান। এছাড়া রয়েছে পোস্ট রাইড অ্যানালাইসিস, গিয়ার শিফট ইন্ডিকেটর, ইঞ্জিন টেম্পারেচার, ডে ট্রিপ মিটার, হ্যাজার্ড লাইট ইত্যাদি।
Bajaj Pulsar NS400Z
Bajaj Pulsar NS400Z সবচেয়ে সস্তা ৪০০ সিসির মোটরসাইকেলের তকমা জিতে নিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হিসেবে দেওয়া হয়েছে ইলেকট্রনিক রাইডার এইড এবং কানেক্টিভিটি, অল এলইডি লাইটিং, ডট ম্যাট্রিক্স ডিসপ্লে সহ কালার এলসিডি কনসোল, যেখানে রাইডিং সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভেসে উঠবে। এছাড়া রয়েছে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, নেভিগেশন, ফোন স্টেটাস, সুইচেবল ট্রাকশন কন্ট্রোল, রাইড বাই ওয়্যার থ্রটেল, চারটি রাইডিং মোড এবং অ্যাডজাস্টেবল লিভার।
Yamaha MT 15
ভরপুর ফিচার্স রয়েছে এমন বাইকের মধ্যে অন্যতম Yamaha MT 15। এটি কিনতে এখন খরচ পড়ে ১.৬৮ লাখ থেকে ১.৭৪ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম)। এতে ব্লুটুথ চালিত এলসিডি কনসোল, স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি অফার করা হয়েছে। যেখানে কল ও এসএমএস অ্যালার্ট, ফোন ব্যাটারি স্টেটাস দেখা যায়। এছাড়া রয়েছে লাস্ট পার্ক স্টেটাস, ম্যালফাংশন অ্যালার্ট, ফুয়েল কনজাম্পশন ট্র্যাকিং, হ্যাজার্ড লাইট ইত্যাদি।