তেল খরচকে গুডবাই বলে Tata Nexon EV কেনার প্ল্যান? দেশের জনপ্রিয়তম ইলেকট্রিক গাড়ির বিষয়ে এই তথ্যগুলি সবার প্রথমে জানুন
২০২০ সালে Tata Motors তাদের প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি Nexon EV লঞ্চ করে কার্যত বাজারে ঝড় তুলেছিল। মডেলটির হাত ধরে বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আধিপত্য কায়েম করেছে তারা। মাঝের এই দুই বছরে মধ্যে Nexon EV পরিণত হয়েছে দেশের সর্বাধিক বিক্রিত ব্যাটারি পরিচালিত চার চাকায়। ঊর্দ্ধমুখী জনপ্রিয়তা দেখে সম্প্রতি Max ও Prime ভার্সনে লঞ্চ হয়েছে গাড়িটি। যুক্ত হয়েছে প্রচুর নতুন আপডেট। টাটা নেক্সন ইভির মতো সাড়া ফেলে দেওয়া ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করলে নিম্নলিখিত এই বিষয়গুলি মাথায় রাখা বাঞ্ছনীয়।
১. ২০২০ সালে লঞ্চ হওয়া টাটা নেক্সন ইভি সংস্থার অন্যতম দ্রুততম গাড়ি। এর ইলেকট্রিক মোটর সর্বোচ্চ ১২৭ বিএইচপি ক্ষমতা ও ২৪৫ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম। সম্পূর্ণ স্থিতাবস্থা থেকে ১০০ কিমি/ ঘন্টা গতিবেগ তুলতে সময় লাগে ৯.৫৮ সেকেন্ড। গাড়িটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার।
২. টাটা নেক্সন ইভি মডেলটিতে রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ব্রেক কষার সময় উৎপাদিত শক্তিকে ব্যাটারি অব্দি পৌঁছে দিয়ে রেঞ্জ সামান্য বাড়িয়ে দেয়। টাটার দাবি, নেক্সন ইভি সম্পূর্ণ চার্জে পরিপুষ্ট অবস্থায় ৩১২ কিমি পথ পাড়ি দিতে পারে। তবে বাস্তবিক ক্ষেত্রে রেঞ্জ মোটামুটি ভাবে ২৩০-২৫০ কিমি। এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ তা চালানোর ধরনের উপর নির্ভরশীল।
৩. টাটা নেক্সন টিভিতে রয়েছে ফাস্ট চার্জিং অপশন। ফাস্ট ডিসি চার্জার দিয়ে মাত্র এক ঘন্টায় গাড়িটির ব্যাটারি ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করা সম্ভব। তাছাড়াও এই গাড়িটির সঙ্গে রয়েছে iRA কানেক্টেড কার প্রযুক্তি, যা ৩৫ ধরনের সংযোগকারী সুবিধা প্রদান করে।
৪. শুরুর দিকে টাটা নেক্সন ইভিতে এক অদ্ভুত ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল মালিকদের। তার মধ্যে অন্যতম হলো গাড়ি চালু থাকা অবস্থায় নিজে থেকেই আচমকা নিউট্রাল মোডে চলে আসা। এছাড়াও গাড়ির ব্যাটারি প্রথমদিকে খুবই তাড়াতাড়ি চার্জ হারাচ্ছিল। তবে পরবর্তীতে সফটওয়্যার আপডেট দ্বারা এটি সমাধান হয়। উপরন্তু কিছু গ্রাহকের অভিযোগ তাদের গাড়িটি আচমকাই লিম্প মোডে চলে আসছিল। এই সমস্যাটিও ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে আপডেট দিয়ে ঠিক করা হয়েছে।