মোদি সরকারের 'না', বিশ্বখ্যাত বৈদ্যুতিক গাড়ি সংস্থার 1 বিলিয়ন ডলারের লগ্নি হাতছাড়া হল ভারতের
বিশ্বের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ভারত বিদেশি বিনিয়োগকে বরাবর স্বাগত জানিয়ে এসেছে। কিন্তু এবারে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েও তা প্রত্যাখ্যান করল ভারত সরকার। সম্প্রতি চীনের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা বিল্ড ইউর ড্রিমস বা বিওয়াইডি (BYD) ভারতে ইলেকট্রিক ভেহিকেল ও তার ব্যাটারি বানানোর কারখানা গড়ার উদ্দেশ্যে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তাতে কেন্দ্র স্পষ্টতই ‘না’ জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী?
বিওয়াইডি-র ১০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগে ‘না’ ভারত সরকারের
ভারতে কারখানা গড়ে বছরে ১০,০০০-১৫,০০০ ইউনিট গাড়ি নির্মাণের বিওয়াইডি-র স্বপ্নে কার্যত জল ঢেলে দিল মোদি সরকার। ভারতে বর্তমানে দুটি ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি করে চীনা সংস্থাটি – Atto 3 ও E6। আবার সংস্থার ভারতীয় ওয়েবসাইটে Seal EV-এর নাম জুড়ে দিয়েছে তারা। এবছর অটো এক্সপো-তে প্রদর্শিত হয়েছিল এটি। ২০২৩ এর শেষের দিকে ভারতে লঞ্চ করতে পারে গাড়িটি। Seal EV নিয়ে সংস্থার উদ্দেশ্য ছিল যে তারা ভারতে বিক্রিত গাড়িগুলির উৎপাদন এদেশের মাটিতেই করবে। এমনকি এতে ব্যবহৃত ব্যাটারি তৈরিরও পরিকল্পনা ছিল তাদের। এতে গাড়ির দাম অনেকটাই কমিয়ে আনা যেতে।
চলতি মাসের শুরুতেই ভারতে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব সরকারের কাছে পেশ করেছিল বিওয়াইডি। এদেশের মাটিতেই ইলেকট্রিক গাড়ি এবং ব্যাটারির কারখানা গড়ার লক্ষ্য ছিল তাদের। কিন্তু ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্স, ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টার্নাল ট্রেড (DPIIT) অন্যান্য দপ্তরের কাছে মতামত চেয়ে পাঠানো হয়। বস্তুত সীমান্ত সংঘর্ষের পর থেকে চিন-সহ স্থলসীমান্তের সঙ্গে সংযুক্ত দেশগুলি থেকে আসা লগ্নির ক্ষেত্রে যে কড়াকড়ি ভারত সরকার দেখিয়েছে, তাতেই অনুমোদন আটকে গিয়েছে বলে নিশ্চিত করা যায়। এক সরকারি সূত্রে জানিয়েছে. চীনা কোম্পানিদের তরফে প্রস্তাবিত এমন ধরনের লগ্নি আর অনুমোদিত হচ্ছে না।
তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগেও চৈনিক গাড়ি নির্মাতার বিনিয়োগের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। যেমন চীনের গ্রেট ওয়াল মোটর মহারাষ্ট্রের তালেগাঁওয়ে আমেরিকার জেনারেল মোটরস (জিএম) এর কারখানা কিনে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তাতে সরকারের সায় পাওয়া যায়নি। এই প্রস্তাব পাঠানোর প্রায় আড়াই বছর অপেক্ষা করার পর অবশেষে ২০২২-এর জুলাইয়ে নিজেদের পরিকল্পনার থেকে সরে আসে সংস্থাটি।