Electric Vehicle Policy: বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতি নিয়ে এল আরও এক রাজ্য, রেজিস্ট্রেশন ফি ও রোড ট্যাক্স মকুব
বিশ্ব উষ্ণায়নের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে হলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর এই দূষণ নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যানবাহন পরিত্যাগ করা। কিন্তু চিরাচরিত সিস্টেমকে বদলে ফেলে নতুন ব্যবস্থা চালু করার জন্য প্রয়োজন সুপরিকল্পিত নীতি। শেষ দুই বছরে আমরা দেখেছি ভারত সরকার সহ বিভিন্ন রাজ্য সরকার ইলেকট্রিক ভেহিকেল (EV) নীতির পথে হেঁটেছে। এবার সেই পথে শামিল মধ্য ভারতের রাজ্য ছত্তিশগড় (Chattisgarh)।
গতকাল ছত্রিশগড় সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতির ঘোষণা করেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের নেতৃত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে নয়া নীতিকে সীলমোহর দেওয়া হয়। এটি শুধুমাত্র রাজ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে প্রণয়ন হয়নি, পাশাপাশি এই ধরনের গাড়িকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে চলা শিল্পকে উন্নত করাই এই নীতির লক্ষ্য। এই নীতি মোতাবেক আগামী পাঁচ বছরে নথিভুক্ত হওয়া ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক গাড়ির ১৫ শতাংশ বৈদ্যুতিক হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে যে," আগামী দিনে ছত্রিশগড় বৈদ্যুতিক যানবাহন ও তার যন্ত্রাংশ তৈরীর হাব হয়ে উঠবে। নতুন এই নীতি যুব সম্প্রদায়ের জন্য প্রচুর সংখ্যক কর্মক্ষেত্রের সুযোগ করে দেবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির ক্রেতা ও নির্মাতা প্রত্যেকে উপকৃত হবেন। "
ছত্তিশগরের এই নীতি বাণিজ্যিক এবং যাত্রী উভয় ধরনের যানবাহনের উপর প্রযোজ্য। অফিসিয়ালি এই নীতি ঘোষণার দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী দু'বছরের মধ্যে যত সংখ্যক ব্যাটারিচালিত গাড়ি কেনা হবে তার উপর আরোপিত সমস্ত রেজিস্ট্রেশন ফি ও রোড ট্যাক্স মুকুব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও দুই বছর পার করে কেনা এই ধরনের গাড়ির উপর অর্ধেক রোড ট্যাক্স ছাড় দেওয়া হবে। আর পলিসি ঘোষনার পাঁচ বছর পর এই ছাড়ের পরিমাণ হবে ২৫%।
এছাড়াও সেই রাজ্যের সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্পকে চাঙ্গা করার জন্য আরো বেশ কিছু সংখ্যক বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই অর্থ মূলত নতুন কারখানা ও যন্ত্রাংশ কেনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে। উপরন্তু ইভি পার্ক করার জন্য সরকার ১,০০০ একর জমির বন্দোবস্ত করে দেবে বলে ঘোষণা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে রাজ্যের চার্জিং স্টেশন তৈরি করার জন্য রাজ্য সরকার নির্ধারিত কিছু এনার্জি অপারেটরকে ২৫% সাবসিডি দেবে এবং প্রথম ৩০০টি এইরূপ ফাস্ট চার্জিং স্টেশনের প্রতিটা পিছু সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য করা হবে।