যোগীর উত্তরপ্রদেশ বা উন্নত কর্ণাটকও নয়, ডিসেম্বরে সবচেয়ে বেশি EV কিনেছেন এই এলাকার বাসিন্দারা
বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে বরাবর ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলির থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে রাজধানী দিল্লি। তা সে নতুন প্রকল্প আনা হোক বা ইভি নীতিতে সংশোধন, সবেতেই কয়েক কদম আগে চলতে দেখা যায় কেজরিওয়াল প্রশাসনকে। এবারে ডিসেম্বরে ইলেকট্রিক ভেহিকেল বিক্রিতেও নিজেদের সেই ধারা বজায় রাখল বর্তমান সরকার। ২০২২-এর শেষ মাসে ৭,০৪৬টি বৈদ্যুতিক যানবাহন বিক্রির কথা ঘোষণা করল তারা। যা গত মাসে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ।
পরিসংখ্যান বলছে, দিল্লিতে বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতি লঞ্চের পর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৯৩,২৩৯টি ইলেকট্রিক ভেহিকেল বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে ৫৫ শতাংশ বিক্রির অবদান রেখেছে দু'চাকা। এই প্রসঙ্গে দিল্লির পরিবহণ মন্ত্রী কৈলাস গহলট বলেন, “ইভি রাজধানী হিসেবে দিল্লি দেশের মধ্যে বরাবর নেতৃত্ব প্রদান করে এসেছে। এবং এটি বর্তমানে ২৩০০ এর বেশি চার্জিং পয়েন্ট এবং ২০০ ব্যাটারি সোয়াপিং স্টেশনের মাধ্যমে শহর জুড়ে কার্যক্রম চালাতে প্রস্তুত।”
প্রসঙ্গত, ২০২০-এর ৭ আগস্ট দিল্লি প্রশাসন তাদের ইভি পলিসি লঞ্চ করেছিল। যার মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল দুই ও তিন চাকার বৈদ্যুতিক গাড়িকে। এই পলিসির কার্যকর হওয়ার পর দিল্লিতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি রাতারাতি বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। ২০২৪-এর মধ্যে রাজ্যে বিক্রিত মোট যানবাহনের ২৫ শতাংশ এই জাতীয় গাড়ি করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে সরকার।
২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ‘সুইচ দিল্লি’ নামক এক কার্যক্রম লঞ্চ করেছিলেন। যার উদ্দেশ্য ছিল পরিবেশবান্ধব যানবাহনের বিষয়ে নাগরিকদের সচেতন করে তোলা। ডিসেম্বরের বিক্রির মাধ্যমে দেশের রাজধানীর প্রশাসন তাদের লক্ষ্যের দুই তৃতীয়াংশ অর্জন করতে পেরেছে। এদিকে, দিল্লি সরকার ১,৫০০ কোটির বেশি টাকা খরচ করে ২০২৫-এর মধ্যে ১০,০০০-এর বেশি ইলেকট্রিক বাসের পার্কিংয়ের জন্য ৫৬টি ডিপোতে বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা করছে।