ই-স্কুটারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সোমবার তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাচ্ছে কেন্দ্র, প্রমাদ গুনছে নির্মাতারা
বৈদ্যুতিক স্কুটারে বার বার আগুন। ব্যাটারিতে বিস্ফোরণ। গত মার্চ মাস থেকে দেশে এখনও পর্যন্ত যা ৬ জনের প্রাণ কেড়েছে। উদ্বিগ্ন হয়ে ঘটনার কারণ অনুসন্ধান যাচাই করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)-কে যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। প্রায় দু’মাস বাদে সেই তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা করতে চলেছে সংস্থাটি। ৩০ মে দুর্ঘটনার রহস্য অবশেষে উদঘাটন হতে চলেছে।
শুক্রবার এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক আগামী সোমবার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমার খবরটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। মার্চ মাস থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় দুই ডজন বৈদ্যুতিক স্কুটার আগুনের কবলে পড়েছে। ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric), ওকিনাওয়া অটোটেক (Okinawa Autotech), পিওর ইভি (Pure EV) এবং বুম মোটরস (Boom Motors)-এর একাধিক ব্যাটারিচালিত স্কুটারে আগুন ধরে যাওয়ার অঘটন ঘটেছে।
তদন্ত প্রসঙ্গে সূত্রের দাবি, “বৈদ্যুতিক স্কুটারে আগুন লাগার জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞদের কমিটি ৩০ মে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করবে।” এদিকে সম্প্রতি সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari) বলেছেন, বৈদ্যুতিক স্কুটারের নির্মাণে সংস্থার গাফিলতি ধরা পড়লে, কড়া শাস্তি অপেক্ষা করছে। ত্রুটি থাকলে ব্যাচ ধরে গাড়ি ফিরিয়ে নেওয়ার বার্তার দিয়ে রেখেছেন তিনি।
সেই অনুযায়ী নির্মাতারা সম্মিলিতভাবে বাজার থেকে ৭,০০০-এর ওপর ই স্কুটার ফিরিয়ে নেওয়ার ডাক দিয়েছে। এদিকে তদন্ত চলাকালীন ইতিমধ্যেই একটি প্রাথমিক রিপোর্টে বৈদ্যুতিক স্কুটারের ব্যাটারি সহ তার ডিজাইন এবং মডিউলে গুরুতর ত্রুটির কথা জানানো হয়েছিল। যার জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠিয়েছে। এখন চূড়ান্ত রিপোর্টে কী ধরা পড়ে, তা নিয়েই প্রমাদ গুণছে সংস্থাগুলি।