পার্সেল ডেলিভারি দিতে Tata-র বৈদ্যুতিক বাণিজ্যিক গাড়ি ব্যবহার করছে FedEX
বহুজাতিক মার্কিন কুরিয়ার সংস্থা ফেডএক্স এক্সপ্রেস (FedEx Express) ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ৩০টি Tata Ace EV মোতায়েন করতে চলেছে। টাটার প্রথম বৈদ্যুতিক বাণিজ্যিক গাড়ি পার্সেল ডেলিভারির জন্য ব্যবহারের পিছনে সংস্থাটির পরিবেশ দূষণ কমানোর পরিকল্পনা কাজ করছে। ২০৪০-এর মধ্যে শূন্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্য পূরণের পথে এটি ফেডেক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
‘ছোট হাতি’ হিসেবে পরিচিত Tata Ace পণ্য পরিবহণের দুনিয়ায় একটি বহুল জনপ্রিয় গাড়ি। গত বছর তার ইলেকট্রিক ভার্সন লঞ্চ হয়েছে। সম্প্রতি গাড়িটির ডেলিভারি শুরু হয়েছে। প্রথম ব্যাচে হাতে পেয়েছে নানা ই-কমার্স সংস্থা। ২০২৫-এর মধ্যে ফেডএক্স সমগ্র বিশ্বে ব্যবহৃত তাদের যানবাহনের ৫০ শতাংশ বৈদ্যুতিক রূপান্তরের লক্ষ্য স্থির করেছে। ২০৩০-এর মধ্যে যা ১০০ শতাংশ করার পরিকল্পনা।
গত বছর সংস্থাটি বৈদ্যুতিক বাণিজ্যিক গাড়ির ট্রায়াল চালিয়েছিল। সেগুলি পণ্য দ্বারা বোঝাই করে এ দেশের রাস্তায় চালিয়ে কার্যক্ষমতা পরখ করে দেখে নেওয়া হয়েছিল। সেই ট্রায়ালের উপর ভিত্তি করে টাটার কমার্শিয়াল ইলেকট্রিক গাড়ি নিজের ছত্রছায়ায় নিয়ে এসেছে তারা। এর ফলে বার্ষিক ১.৩ টন কার্বনে নির্গমন রোখা যাবে।
এই প্রসঙ্গে ফেডএক্স এক্সপ্রেস-এর ভারতীয় শাখার ম্যানেজিং ডিরেক্টর শুভেন্দু চৌধুরী বলেন, “ই-কমার্স সংস্থাগুলি জনপ্রিয় হয়ে ওঠার মানে আমাদের পরিষেবা আগের চাইতে আরও বাড়াতে হবে। ডেলিভারির ক্ষেত্রে বিদ্যুতায়ন আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এতে কার্বনের নির্গমন কমবে। ডেলিভারির ব্যবস্থা দীর্ঘস্থায়ী করা যাবে।”
ফেডএক্স এক্সপ্রেস-এর গবেষণায় উঠে এসেছে প্রতি দর্শনের মধ্যে নয় জন উপভোক্তা পরিবেশবান্ধব যানবাহনের মাধ্যমে ডেলিভারি পাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। ফলে ব্যবসা আরও সম্প্রসারিত করতে হলে পরিবেশের প্রতি সচেতন থাকার বার্তা এসেছে ক্রেতা মহল থেকে। প্রসঙ্গত, ফেডএক্স এক্সপ্রেস হল বিশ্বের মধ্যে প্রথম কোম্পানি যারা ২০০৩ সালে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে হাইব্রিড ভেহিকেলের ব্যবহার করেছিল। এবং ১৯৯৪ সালে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াতে ফেডেক্স তাদের প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি ডেলিভারির জন্য ব্যবহার করেছিল।