মডিফিকেশনের কেরামতি! ছিল Hero Splendor, 60,000 টাকা খরচের পর হয়ে গেল গরীবের Harley Davidson
মোটরসাইকেল নিয়ে বহু মানুষের শখের অন্ত নেই। কিন্তু অনেক সময়ই এই শখ পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় স্বল্প বাজেট। ফলে অগত্যা কম রেঞ্জের কমিউটার বাইক কিনেই খুশি থাকতে হয়। অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো অবস্থা। কিন্তু প্রিমিয়াম বাইকের অদম্য ইচ্ছা যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেয় না। অবশেষে বাধ্য হয়েই Hero Splendor-কে অনেকটা Harley-Davidson-এর মতো বানিয়ে অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণ করলেন এক ব্যক্তি। বাইকটির আপাদমস্তক দেখে তার পূর্বের অবস্থা সম্পর্কে কল্পনা করা দায়। কেসের (Keyser) নামে অভিহিত সেই মডিফায়েড Hero Splendor-কে নতুন রূপ দিয়েছে বেঙ্গালুরুর ফুল থ্রটেল কাস্টমস বা এফটিসি (FTC) নামক বাইক কাস্টমাইজেশনের সংস্থা। ইঞ্জিন, অ্যালয় হুইল এবং সাসপেনশন বাদে বাকি সমস্ত যন্ত্রাংশ নতুনভাবে যোগ করা হয়েছে।
মডিফিকেশনের পর কিছুটা Harley Davidson Iron 883-র রূপ পেয়েছে বাইকটি। যার ফুয়েল ট্যাঙ্কটি কাঠ বাদামের আকৃতির। পরিবর্তিত সিটের পেছনের অংশটি উঁচু। অ্যালয় হুইলের দু’পাশে লাল রঙের বর্ডার দেওয়া হয়েছে। এই একই কালার হ্যান্ডেল বার লিভার এবং হেডলাইট কেসিংয়েও করা হয়েছে। ট্যাপার ফুয়েল ট্যাঙ্ক দেওয়ার কারণে ফ্রেমটি উন্মুক্ত হয়েছে। ট্যাঙ্কের ঠিক নীচে দু’পাশে দেওয়া হয়েছে দুটি লেদারের ব্যাগ। সাইড প্যানেলেও কাস্টমাইজেশন নজরে পড়েছে।
বাইকটির পেছনে চাঙ্কি টায়ার এবং কাস্টম ফেন্ডার ডিজাইনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সামনের চাকা, অ্যালয় হুইল এবং সাসপেনশন কম্পোনেন্টে কোনো পরিবর্তন ঘটানো হয়নি। সদ্য বাজারে লঞ্চ হওয়া TVS Ronin-এর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অফসেট ওডোমিটার দেওয়া হয়েছে এতে। যা Bajaj Avenger-এর থেকে ধার করে আনা। টার্ন ইন্ডিকেটরেও পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। নতুন সেটআপে রাউন্ড কেসিংয়ে তীর আকৃতির প্যাটার্ন লক্ষ্য করা গেছে।
কারিগরি দিক থেকে মোটরসাইকেলটিতে হিরোর ফুয়েল এফিশিয়েন্ট ৯৭.২ সিসি ইঞ্জিন রাখা হয়েছে। যা থেকে ৮ পিএস শক্তি এবং ৮.০৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। উপরে উক্ত পরিবর্তনের কারণে বাইকটির কার্ব ওয়েট ১১২ কেজি থেকে কমে ১০৯ কেজি হয়েছে। এই সম্পূর্ণ মডিফিকেশনের জন্য খরচ হয়েছে ৬০,০০০ টাকা। যা দিয়ে একটি নতুন কমিউটার মোটরসাইকেল কেনা যেত ঠিকই, তবে হার্লে ডেভিডসনের স্বাদ মিলতো না।