Hop Electric শুধু ই-বাইক লঞ্চ করে থেমে নেই, নতুন মডেল বাজারে আনতে 200 কোটি টাকা লগ্নি করবে
ভারতের অর্থনীতিকে অধিক গতিশীল করতে যেকোনো শিল্পে বিনিয়োগই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে ইদানিং হিটলিস্টে থাকা বৈদ্যুতিক যানবাহন ক্ষেত্রে লগ্নির বেশ বাড়বাড়ন্ত নজরে পড়ছে। তা সে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে নতুন কারখানা গড়ার ক্ষেত্রেই হোক বা, ব্যাটারি চালিত গাড়ির চার্জিং স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়ন। সর্বত্রই আর্থিক লগ্নির জোয়ার চলছে। এবারে ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের বাজারে নতুন সদস্য হপ ইলেকট্রিক মোবিলিটি (HOP Electric Mobility) আগামী এক বছরের মধ্যে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে বলে জানাল। যার মূল উদ্দেশ্য চার্জিং পরিকাঠামোর উন্নয়ন ও বৈদ্যুতিক দু’চাকার গাড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি বলে জানিয়েছেন সংস্থার কর্ণধার কেতন মেহতা।
জয়পুরেস স্টার্টআপটি গত সোমবার তাদের প্রথম ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল Oxo লঞ্চ করেছে। যার দাম ১.২৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু। সংস্থাটি তাদের যন্ত্রাংশ সরবরাহকারীদের সাথে যৌথভাবে রাজস্থানের নিমরানাতে একটি ইলেকট্রিক ভেহিকেল পার্ক তৈরি করছে। সংস্থার কর্ণধার বেতন মেহতা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত ব্যবসায় আমরা প্রায় ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি। আগামী ১২ মাসের কম সময়ে ২০০ কোটি টাকা লগ্নির প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
সংস্থার বিনিয়োগের একটা অংশ চার্জিং স্টেশন নির্মাণের পিছনে খরচ হবে। যাতে আগামীতে আরও বেশি সংখ্যক গ্রাহককে আকৃষ্ট করতে সুবিধা হয় সংস্থার। আর বাকি অংশটি নতুন পণ্য বাজারে নিয়ে আসার জন্য ব্যয় হবে। সংস্থার লক্ষ্য, তাদের লো-স্পিড ইলেকট্রিক স্কুটারগুলিকে হাই-স্পিডে রূপান্তর। নিমরানার নতুন প্রোডাকশন প্ল্যান্টের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৫ লক্ষ ইউনিট। ২০২৩-এর মাঝামাঝি থেকে এখানে টু-হুইলার উৎপাদনের কাজ শুরু করা যাবে বলে আশাবাদী হপ। এছাড়া জয়পুরে ৫০,০০০ ইউনিট টু-হুইলার তৈরির বার্ষিক ক্ষমতাবিশিষ্ট একটি কারখানা রয়েছে তাদের।
মেহতা মন্তব্য করেন, “সক্ষমতার প্রসঙ্গে বললে আমরা বছরে ১.২ লক্ষ টু-হুইলার উৎপাদন করতে পারি। যা আগামী কয়েক মাসে স্কুটার এবং মোটরসাইকেল ডেলিভারির জন্য যথেষ্ট। আমরা বর্তমানে রাজস্থানের নিমরানাতে ৬০ একর জমির উপর একটি নতুন ইভি পার্ক তৈরি করছি।” যার মূল উদ্দেশ্য ইলেকট্রিক টু-হুইলারের পাশাপাশি তার হরেক যন্ত্রাংশ যাতে এক জায়গা থেকেই সংগ্রহ করা যায়।