Electric Bus: দেশের গণ-পরিবহণ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবে কেন্দ্র, দূষণ রোধে 80000 কোটি টাকা ব্যয়ে ই-বাস কেনার ভাবনা
ভারতের পরিবেশ দূষণের চোখ রাঙানিকে জব্দ করতে অতি তৎপর মোদি সরকার। হাতিয়ার হিসেবে তুলে নেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক যানবাহন ব্যবহার বৃদ্ধিকে। এতদিন দেশের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে আরও বেশি পরিমাণে পরিবেশবান্ধব যানবাহন কেনার বার্তা দেওয়া হলেও, এবারে দূষণকে আয়ত্তে আনার রশি নিজের হাতেই নিতে চলেছে কেন্দ্র। ১০ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৮০,০০০ কোটি টাকা খরচ করে দেশে ইলেকট্রিক বাস কেনার পরিকল্পনা করছে তারা । আসলে পরিবহন-দূষণ থেকে বাতাসে মিশছে কালো ধোঁয়া। তাই জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে ব্যাটারিতে বাস চালিয়ে সেই ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস করতেই পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০৭০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নির্গমনের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের লক্ষ্যমাত্রার কথা সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন। কেন্দ্রের এনার্জি অফিশিয়েন্সি সার্ভিসেস লিমিটেড (EESL)-এর শাখা কনভার্জেন্স এনার্জি সার্ভিসেস লিমিটেড (CESL) ইলেকট্রিক বাস কেনার জন্য এর মধ্যেই দরপত্র ডাকবে। সিইএসএল-এর লক্ষ্য এই ইলেকট্রিক বাসগুলি দেশেই তৈরি করা। আবার সেগুলি চালানোর জন্য ইলেকট্রিক ভেহিকেলের পরিকাঠামোর উন্নয়ন দিকেও নজর দেওয়া হবে।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সংস্থাটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহুয়া আচার্য বলেন, “এই দেশ বদলে গাড়ির উচ্চাকাঙ্ক্ষার দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। তাই এই সুযোগ দাখিল করতে অর্থের জোগান একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।” আচার্যের কথায়, আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে সরকার এদেশে কেবলমাত্র ইলেকট্রিক বাস চালাবে। যদিও এর পাশাপাশি তিনি বৈদ্যুতিক গাড়ির পরিকাঠামো এবং গ্রিড সক্ষমতা উন্নয়নের কথাও উল্লেখ করেন।
এছাড়া বৈদ্যুতিক গাড়ির ডিপোগুলির পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজনীয়তার কথাও তাঁর বক্তব্যে ফুটে ওঠে। ভারতের দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরুতে গণপরিবহনের জন্য সরকারের নিজস্ব ইলেকট্রিক বাস রয়েছে। আবার বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) নীতি পাশ করিয়েছে, যেখানে আগামী দিনে গণপরিবহণে কেবলমাত্র ইলেকট্রিক যানবাহন ব্যবহারের কথা উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ্য, এবছরের শুরুতে সিইএসএল পাঁচটি রাজ্য সরকারের তরফে একটি বেসরকারি সংস্থাকে ৫,৪৫০টি ইলেকট্রিক বাস সরবরাহের কনট্রাক্ট দিয়েছে।