LML ভারতে ফিরছে ইলেকট্রিক বাইক ও স্কুটার নিয়ে, প্রথম মডেল লঞ্চ কবে? এক ক্লিকে জেনে নিন
একসময়কার ভারতের টু-হুইলারের বাজার কাঁপানো সংস্থা এলএমএল আচমকাই বাজার থেকে হারিয়ে যায়। বেশ কয়েক বছর নিরুদ্দেশের পর ফের নতুন রূপে ফিরতে চলেছে সংস্থাটি। এবারে তারা বৈদ্যুতিক দু’চাকার গাড়ি তৈরি করবে। এলএমএল ইলেকট্রিক (LML Electric) নাম নিয়ে বাজারে ব্যবসা করবে তারা। এবারে সংস্থা জানালো ২০২৩-এর দ্বিতীয়ার্ধে তাদের প্রথম ব্যাটারি চালিত মডেলটি বাজারে হাজির করবে। নিজেদের একটি নতুন কারখানা গড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। এজন্য ৫০০ কোটি টাকার প্রয়োজন। যা বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের থেকে সংগ্রহ করার চিন্তাভাবনার কথা জানিয়েছে এলএমএল ইলেকট্রিকের এমডি এবং সিইও যোগেশ ভাটিয়া।
এলএমএল ইলেকট্রিক ইতিমধ্যেই সায়েরা ইলেকট্রিক অটো প্রাইভেট লিমিটেড (Saera Electric Auto Pvt Ltd)-র সাথে হাত মিলিয়েছে। যারা মার্কিন ক্রুজার বাইক নির্মাতা হার্লে ডেভিডসনের এদেশে হরিয়ানার বাওয়ালের কারখানার মালিকানা গ্রহণ করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এলএমএল ইলেকট্রিক এই কারখানাটিকে নিজেদের উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করবে।
এই প্রসঙ্গে ভাটিয়া সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “আমরা আলাদা ক্যাটেগরিতে তিনটি মডেল লঞ্চের পরিকল্পনা করছি। আমাদের প্রথম প্রোডাক্টটি হবে একটি ইলেকট্রিক বাইক (বাইসাইকেল)। যা ২০২৩-এর প্রথমার্ধে ইউরোপ এবং আমেরিকার বাজারে আসবে। ভারতের বাজারের জন্য আমাদের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মডেলটি ২০২৩-এর দ্বিতীয়ার্ধে লঞ্চ হবে।” দ্বিতীয় মডেলটি একটি হাইপার বাইক হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। যা কিনা ইলেকট্রিক স্কুটার এবং মোটরসাইকেল, উভয়ের বৈশিষ্ট্য যুক্ত।
ভাটিয়া যোগ করেন, “এলএমএল ইলেকট্রিক ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহের কাজ করছে, যাতে ভারত এবং বিদেশে ব্যবসার সম্প্রসারণ ঘটানো যায়।” এই অর্থে দিয়ে কারখানাও তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, “একই সাথে আমরা আমাদের নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট তৈরির পরিকল্পনা করছে। দেড় থেকে দু’বছরের মধ্যে আমরা এটি তৈরি করে ফেলব।” উৎপাদন সক্ষমতার বিষয়ে তিনি জানান, “২০২৫-এর পর বার্ষিক ১০ লক্ষ টু-হুইলার তৈরির লক্ষ্যে এগোচ্ছি আমরা। তবে তার আগে বাওয়ালের কারখানায় বছরে ২.২৫ লাখ পণ্য উৎপাদন হবে।”