Mahindra: অত্যাধুনিক প্রযুক্তির গাড়ির হাত ধরে বিদেশের বাজার দখলের লক্ষ্যে মাহিন্দ্রা
ব্যবসায় সমৃদ্ধির আশা সকল সংস্থাই করে থাকে। ভারতের ‘এসইউভি স্পেশালিস্ট’ মাহিন্দ্রা (Mahindra)-র ক্ষেত্রেও তার অন্যথা নয়। এই জন্য ভারতের পর এবার আর্ন্তজাতিক বাজারকেও অধিক গুরুত্বের চোখে দেখতে চলেছে দেশীয় কোম্পানিটি। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিভিন্ন দেশের বাজারে গাড়ি বিক্রি থেকে নিজেদের আয় তিনগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে মাহিন্দ্রা।
Mahindra বিদেশে ব্যবসা বাড়ানোর লক্ষ্যে
মাহিন্দ্রা ও মাহিন্দ্রার প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক এবং ডিরেক্টর রাজেশ জেজুরিকার (অটোমোটিভ ও ফার্ম ইকুইপমেন্ট) বলেছেন, বিশ্ব বাজারের জন্য একাধিক নতুন প্রোডাক্ট তৈরিতে জোরকদমে হাত লাগিয়েছে কোম্পানি। এগুলি সস্তার মূল্যে হাজির করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি। মাহিন্দ্রার বিশ্বাস, বিশ্ববাজারে প্রতিপক্ষদের সাথে লড়াইতে টিকে থাকার জন্য তাদের গাড়িগুলি প্রযুক্তিগত দিক থেকে যথেষ্ট আধুনিক এবং উন্নত।
আন্তর্জাতিক বাজারগুলির মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা হচ্ছে মাহিন্দ্রার ব্যবসায় সাফল্যের একটি অন্যতম ক্ষেত্র, যেখানে তাদের একটি কারখানা রয়েছে। সেদেশের তাদের বিক্রিত মডেলগুলি হচ্ছে – XUV300 সাবকম্প্যাক্ট এসইউভি, XUV700 SUV, Scorpio N, একাধিক পিকআপ ট্রাক এবং কিছু বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী গাড়ি। বর্তমানে আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া মিলিয়ে মোট ৩০টি দেশে গাড়ি রপ্তানি করে মাহিন্দ্রা।
আবার লাতিন আমেরিকার কিছু দেশে লেফট হ্যান্ড ড্রাইভ মডেল বিক্রি করে মাহিন্দ্রা। ২০২৪ সালের মধ্যে নিজেদের বর্ন ইলেকট্রিক (Born Electric) রেঞ্জের মাধ্যমে ইউরোপের বাজারে পদার্পণের পরিকল্পনা করছে বলে শোনা গিয়েছে। আগের বছর মাহিন্দ্রার প্রদর্শিত এই সাব-ব্র্যান্ডের আওতায় কনসেপ্ট মডেলগুলি হচ্ছে – BE.05, BE.07 ও BE.09। অন্যদিকে, XUV.e সাব-ব্র্যান্ডের অধীনস্থ মডেলগুলি হচ্ছে XUV.e8 ও XUV.e9।
উপরিউক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িগুলি মাহিন্দ্রার মডিউলার INGLO প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। আবার এতে Volkswagen MEB আর্কিটেকচারের কিছু যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়েছে। XUV.e8 হচ্ছে আদতে XUV700-এর ইলেকট্রিক ভার্সন। এটি সংস্থার প্রথম XUV.e সাব-ব্র্যান্ডের অধীনস্থ ইভি মডেল হিসেবে আসবে বলে জল্পনা শোনা যাচ্ছে।
মাহিন্দ্রার অল ইলেকট্রিক এসইউভি গাড়িগুলিতে ৬০ থেকে ৮০ কিলোওয়াট আওয়ার ক্ষমতার ব্যাটারি এবং ১৭৫ কিলোওয়াট ফাস্ট চার্জিং ইলেকট্রিক মোটর ব্যবহার করা হবে। এগুলি একটি র্যাপিড চার্জার দ্বারা ৩০ মিনিটে ০-৮০% চার্জ করা যাবে। ফিচার হিসেবে থাকবে অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম বা অ্যাডাস, ত্রিমাত্রিক ইন-কার অডিও সিস্টেম এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।