পেট্রল ও ইথানলের মিশ্রণে চলবে গাড়ি, তেল খরচ ও দূষণ কমবে, Maruti নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করল

By :  SUMAN
Update: 2022-08-16 14:26 GMT

ভারত সরকারের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে। অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। বৈদ্যুতিক যানবাহনের পর সরকারের নজর দেশে ইথানল ও মিথানল চালিত গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি। কেন্দ্রের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এবারে দেশের বৃহত্তম যাত্রীবাহী গাড়ি নির্মাতা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki) অপেক্ষাকৃত কম দূষণ সৃষ্টিকারী ফ্লেক্স ফুয়েল (Flex Fuel) ইঞ্জিন সহ গাড়ি নিয়ে আসার সময়সূচীর ঘোষণা করল। তারা জানিয়েছে, পেট্রোলের সাথে ৮৫% ইথানল মেশানো যায় (E85) এমন প্রযুক্তির ইঞ্জিনের উন্নয়নে হাত লাগিয়েছে। সেটি কেন্দ্রীয় অনুমোদন প্রাপ্ত E20 সহায়ক হবে বলেও জানিয়েছে মারুতি।

মারুতি সুজুকির গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে সংস্থার আধিকারিক সিভি রামন বলেন, “আমরা ২০২৩-এর এপ্রিলের মধ্যে E20 সহায়ক গাড়ি বাজারে আনবো। আবার ৮৫% পর্যন্ত ইথানল মেশানো যায় এমন ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিন উন্নয়নের কাজ চলছে।” বর্তমানে ভারতে ১০-১৫% ইথানল পেট্রলে মেশানোর অনুমতি রয়েছে। ভবিষ্যতে এর পরিমাণ ২০-২৫% বাড়াতে হলে গাড়ির ইঞ্জিনের প্রযুক্তিতে বেশ কিছু অদল বদল ঘটানোর প্রয়োজন। তাই আগামী দিনের কথা ভেবে ই৮৫ (E85) ইঞ্জিন তৈরিতে ব্রতী হয়েছে সংস্থাটি।

সিভি রামন আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে কেবল বিএস৪ নির্গমন বিধির ই৮৫ ইঞ্জিনের চল রয়েছে। তাই ভারত বিএস৬ নির্গমন বিধির ই৮৫ ইঞ্জিন সহ গাড়ি লঞ্চের প্রথম বাজার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।” প্রসঙ্গত, বর্তমানে মারুতি সুজুকি বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়েও কাজ করছে। যেগুলি ২০২৫-এ বাজারে আসবে। এর পাশাপাশি দ্বারা বিকল্প জ্বালানির গাড়ির উৎপাদনেও জোর দিচ্ছে। যেমন, ইতিমধ্যেই সংস্থার পোর্টফোলিওতে সিএনজি চালিত গাড়ির ব্যাপক সম্ভার রয়েছে। একই সাথে ইথানল জ্বালানির যানবাহন আনতে কোমর বেঁধেছে সংস্থা, এমনটাই জানিয়েছেন রামন।

অপ্রচলিত শক্তির যানবাহনের সাথে বর্তমানে মারুতির ঝুলিতে থাকা জীবাশ্ম চালিত গাড়ির প্রায় প্রতিটি মডেলকে নতুন ভার্সনে লঞ্চ করা হয়েছে। এই কাজ আগামীতেও জারি রাখবে তারা। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari) অতীতে একাধিকবার ইথানল চালিত ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিনের বিষয়ে সুর চড়িয়েছিলেন। ব্রাজিলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছিলেন ভারতেও E20 গাড়ি তৈরি হলে পরিবেশের পক্ষে সহায়ক হবে। আবার খাদ্যশস্য ও তার বর্জ্য থেকে ইথানল উৎপাদন করা যায়। যা ভারতীয় কৃষকদের বেশি অর্থ উপার্জনের নতুন দিশা দেখাবে বলে বার্তা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

Tags:    

Similar News