হ্যাচব্যাক-এসইউভির থেকেও চাহিদা বেশি Maruti Suzuki Eeco-র, ওয়েটিং পিরিয়ড শুনলে অবাক হবেন
ভারতের প্যাসেঞ্জার ভেহিকেলের বাজারে ভ্যান গাড়ির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় মডেল হিসেবে রয়েছে Maruti Suzuki Eeco। গত বছর নভেম্বরে গাড়িটির নয়া ভার্সন লঞ্চ করেছে মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)। তারপর থেকেই চাহিদায় নতুনভাবে জোয়ার দেখা গিয়েছে। বিক্রির নিরিখে বিভিন্ন এসইউভি ও হ্যাচব্যাককেও পিছনে ফেলেছে। সূত্রের খবর, বুক করার পর চাবি হাতে পেতে ক্রেতাদের ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। তবে অঞ্চল, ডিলারশিপ এবং ভ্যারিয়েন্ট ভেদে আলাদা হতে পারে ওয়েটিং পিরিয়ড।
পারফরম্যান্সের কথা বললে, Maruti Suzuki Eeco একটি ১.২ লিটার পেট্রোল ইঞ্জিন সমেত বেছে নেওয়া যায়। যা থেকে সর্বোচ্চ ৮০ বিএইচপি শক্তি এবং ১০৪.৪ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। এবছর ফেব্রুয়ারিতে ভ্যান গাড়িটির ১০ লক্ষ ইউনিট বিক্রির মাইলস্টোন স্পর্শের কথা জানায় ইন্দো-জাপানি সংস্থাটি। ২০১০ সালে প্রথম বাজারে এসেছিল গাড়িটি। বর্তমানে এটি ১৩টি ট্রিমে উপলব্ধ। যার মধ্যে রয়েছে – ৫ ও ৭ সিটার ভার্সন, কার্গো, টুর এবং অ্যাম্বুলেন্স মডেল।
Maruti Suzuki Eeco : ইঞ্জিন ও ফিচার্স
Eeco-তে রয়েছে ১.২ লিটার পেট্রোল ইঞ্জিন, যা থেকে ৮০ বিএইচপি শক্তি এবং ১০৪.৪ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। সিএনজি মডেলের আউটপুট ৭১ বিএইচপি এবং ৯৬ এনএম। ফাইভ-স্পিড ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স সমেত বেছে নেওয়া যায় গাড়িটি। পেট্রোল ভার্সনের মাইলেজ ১৯.৭১ কিমি/লিটার। যেখানে এক কেজি সিএনজি-তে এটি ২৬.৭৮ কিমি ছোটে।
ফিচারের প্রসঙ্গে বললে Maruti Suzuki Eeco-তে রয়েছে নতুন স্টিয়ারিং হুইল, ম্যানুয়াল এয়ার কন্ডিশনারের জন্য রোটারি কন্ট্রোল, নতুন ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেল, এয়ার পিউরিফায়ার, রিক্লাইনিং ফ্রন্ট সিট, ব্যাক স্লাইডিং ডোরের জন্য চাইল্ড লক, রিভার্স পার্কিং সেন্সর, ইলুমিনেটেড হ্যাজার্ড সুইচ ইত্যাদি।