নাক সিঁটকিয়ে লাভ নেই, গরুর গোবরে গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা করছে Maruti
পরিবেশ দূষণের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে ভারতের গাড়ি নির্মাতাদের মধ্যে সর্বাগ্রে থাকা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki) কালজয়ী পদক্ষেপ নিতে চলেছে। সংস্থাটি গরুর গোবর থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনের কাজ শুরু করতে চলেছে। যা তাদের সিএনজি গাড়ির জৈব জ্বালানি হিসাবে কাজ করবে। যানবাহন থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়ার বাতাসে মিশে যাওয়া রুখতে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান সূত্র খোঁজার আওতায় প্রকল্পটি হাতে তুলে নিয়েছে ইন্দো-জাপানি সংস্থাটি।
২০৩০-এর মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রেক্ষিতে মারুতি সুজুকি বলেছে, “সমস্ত পণ্য এবং পরিষেবাকে পরিবেশবান্ধব রূপে পরিবর্তিত করার লক্ষ্যে আমরা কেবলমাত্র ব্যাটারি ইলেকট্রিক ভেহিকেল এনেই থেমে থাকবে না। পাশাপাশি ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিনের গাড়ি থেকে দূষণ কমাতে সিএনজি, বায়োগ্যাস এবং ইথানল মিশ্রিত জ্বালানির গাড়িও বাজারে আনবো।”
সংস্থাটির নতুন প্রকল্পের মূল উপাদান গোবর হল এমন এক জিনিস, যা গ্রামাঞ্চলে খুব সহজেই মেলে। এই উদ্ভাবনী পদক্ষেপের প্রসঙ্গে মারুতি সুজুকির বক্তব্য, “এই জৈব গ্যাস আমাদের সিএনজি গাড়িতে ব্যবহৃত হতে পারে। বর্তমানে দেশের রাস্তায় চলাচল করা সিএনজি গাড়ির ৭০ শতাংশ মারুতির তৈরি।”
বায়োগ্যাস পাওয়া যায় এমন ক্ষেত্রের নিকটবর্তী স্থানে সুজুকি সিএনজি অটোমোটিভ সলিউশন উন্নয়নের পরিকল্পনা করছে। আফ্রিকা, আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশ এবং জাপানে তা রপ্তানি করার সম্ভাবনাও সংস্থাটি গুরুত্বের চোখে দেখছে। মারুতি জানিয়েছে, “আমাদের বিশ্বাস ভারতে বায়োগ্যাসের ব্যবসা কেবলমাত্র কার্বনের নির্গমন কমাতেই সাহায্য করবে না, একই সাথে এদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে জোয়ার আনতে ভূমিকা পালন করবে।”
প্রসঙ্গত, গত বছর মারুতি সুজুকি বায়োগ্যাস উৎপাদনের প্রকল্প শুরু করার উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড-এর সাথে হাত মিলিয়েছিল। বাণিজ্যিকভাবে ২০২৪ সালের মধ্যে উৎপাদন শুরুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আগামী বছর ভারতে তাদের প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি লঞ্চ করতে চলেছে মারুতি সুজুকি। ২০৩০ সালের মধ্যে এদেশে তাদের পোর্টফোলিওতে ছয়টি ব্যাটারি চালিত মডেল যুক্ত হবে।