আকার-আকৃতিতে ঠিক যেন Tata Nano, ভারতে MG এর ছোট বৈদ্যুতিক গাড়ির ইন্টেরিয়র ইমেজ লিক হল, এক চার্জে 300 কিমি!
ব্রিটিশ গাড়ি নির্মাতা এমজি মোটর (MG Motor) ভারতে তাদের দ্বিতীয় বৈদ্যুতিক গাড়ি আনতে চলেছে। যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মহলে ব্যাপক চর্চা চলছে। মিড-সাইজ এসইউভি MG ZS EV -র পর সংস্থাটি এবারে একটি পুচকে বৈদ্যুতিক গাড়ি আনতে উদ্যত হয়েছে। যার সাংকেতিক নাম MG E230। এটি ইন্দোনেশিয়ায় সম্প্রতি উন্মোচিত সংস্থার সিস্টার ব্র্যান্ড Wuling Air EV -র উপর ভিত্তি করে তৈরি। কিছুদিন আগে গুজরাতে ট্রায়াল চলাকালীন গাড়িটি নজরে পড়ে। যা গাড়িটির আসন্ন লঞ্চের জল্পনার আগুনে ঘৃতাহুতি করেছে। রিপোর্টের দাবি ২০২৩-এর প্রথমার্ধে বাজারে লঞ্চ হবে MG E230। আবার জানুয়ারি, ২০২৩-এর অটো এক্সপো-তে এর ঝলক দেখানো হতে পারে। পাশাপাশি গাড়িটির কেবিনের কিছু ছবি ফাঁস হয়েছে। চলুন আসন্ন বৈদ্যুতিক গাড়িটির খুঁটিনাটি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
MG Compact EV ইন্টেরিয়র ডিজাইন
MG Compact EV-র ভারতীয় মডেলটির অন্দরমহলের ছবি দেখে ফিচার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গিয়েছে। এর ইন্টেরিয়র ডিজাইন এর সাথে চীনের বাজারে বিক্রি হওয়া Wuling Honguang EV-র অনেকাংশে মিল রয়েছে। ভারতে নতুন নামে আসতে চলা গাড়িটিতে ছিমছাম ডিজাইন দেওয়া হয়েছে। ড্যাশবোর্ডে টুইন ১০.২৫ ইঞ্চি স্ক্রিন আছে। যার একটি ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং আরেকটি ইনফোটেনমেন্ট স্ক্রিন হিসেবে কাজ করবে। এর ঠিক নীচে দেওয়া হয়েছে আড়াআড়ি দুটি এসি ভেন্ট। এরও নীচে রয়েছে তিনটি গোলাকৃতি নব। যা দিয়ে HVAC নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কেবিনে ডুয়েল টোন কালার দেখা গেছে।
স্টিয়ারিং হুইলে রয়েছে দুটি স্পোক। দুটিতেই উপস্থিত একাধিক কন্ট্রোল। সিলভার ফিনিশিং এই বাটনগুলির মাধ্যমে অডিও, নেভিগেশন, ইনফোটেইনমেন্ট, ভয়েস কমান্ড সহ আরও অন্যান্য সিস্টেম চালনা করা যাবে। চালক সহ চারজন যাত্রীর আসন থাকলেও ভেতরের জায়গা বেশ খোলামেলা। পিছনের সিট দুটি গাড়ির শেষ প্রান্তে থাকায় পা রাখার স্থানটি বেড়েছে। যে কারণে কার্গো স্পেস কম মিলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেন্টার কনসোলে স্টোরেজ স্পেস, পাওয়ার উইন্ডো সুইচ এবং গিয়ার সিলেক্টার নজরে পড়েছে।
Wuling Air EV - দুটি রেঞ্জের বিকল্প
ইন্দোনেশিয়ার বাজারে Wuling Air EV দু’ধরনের রেঞ্জের বিকল্পে এসেছে। তাই মনে করা হচ্ছে একই বিকল্প ভারতের মডেলেও রাখা হবে। ইন্দোনেশিয়ায় স্ট্যান্ডার্ড এবং লং রেঞ্জ ভার্সন দুটি সিঙ্গেল চার্জে যথাক্রমে ২০০ ও ৩০০ কিলোমিটার পথ চলতে পারে। এদেশের মডেলেও ওই একই রেঞ্জ অফার করা হতে পারে। ভারতে গাড়িটি Tata X-Press T EV ও Tata Tigor EV-এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে। যদিও Tata X-Press T EV কেবলমাত্র বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির জন্যই উপলব্ধ। এর রেঞ্জ ১৬৫ কিমি। অন্যদিকে Tata Tigor EV-র রেঞ্জ ৩০৬ কিমি।
সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক বাজারে Wuling Air EV দু’রমক ক্ষমতার সিঙ্গেল মোটরে বিক্রি করা হয়। একটির আউটপুট ৩০ কিলোওয়াট এবং অপরটির ৫০ কিলোওয়াট। এতে রয়েছে একটি লিথিয়াম আয়ন ফসফেট ব্যাটারি। জানা গেছে ভারতের মডেলটির জন্য Tata AutoComp ব্যাটারি সরবরাহ করবে। এতে LPG-টাইপ সেল থাকবে। যা Tata Nexon EV -তেও ব্যবহার করা হয়।