ক্রেতা সন্তুষ্টিতে Maruti, Tata-কে পিছনে ফেলে সেরার মুকুট জিতে নিল এই গাড়ি সংস্থা
খুব কম সংখ্যক মানুষই রয়েছেন যারা একজীবনে বারবার গাড়ি কেনার অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পান। সাধের গাড়িটি কেনার পর তাতে সওয়ার করে জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি। তাই গাড়ি কেনার মুহূর্তটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাথে তুলনা করলেও অত্যুক্তি হবে না। আর এই মুহূর্তকে আরও সুন্দর করে তুলতে গাড়ি সংস্থাগুলি নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যায়। তেমনই গাড়ি কেনার সময় ক্রেতাদের সর্বাধিক সন্তোষজনক পরিষেবা দিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে ব্রিটিশ অটোকার ব্র্যান্ড এমজি মোটর (MG Motor)। ‘জেডি পাওয়ার সেলস স্যাটিসফেকশন ইনডেক্স’-এ এমনটাই দাবি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ১০০০-এর মধ্যে সংস্থার প্রাপ্ত নম্বর ৮৮১।
এখন প্রশ্ন এই ‘জেডি পাওয়ার সেলস স্যাটিসফেকশন ইনডেক্স’ আসলে কী? এটি হল, কোনো সংস্থা ক্রেতাদের গাড়ি কেনার সময় কতটা সন্তোষজনক পরিষেবা দিতে পারছে, তা বিচারের একটি মাপকাঠি। এই ইনডেক্সে এমজি মোটরের পর ৮৭৮ মান পেয়ে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী Toyota। তৃতীয় স্থানের দখলদার Hyundai। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৮৭২।
ছ’টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে গ্রাহকদের সন্তুষ্টির পরিমাণ বিচার করে ‘জেডি পাওয়ার সেলস স্যাটিসফেকশন ইনডেক্স’। যার মধ্যে রয়েছে ডেলিভারি প্রক্রিয়া (২০%), ডিলার ফেসিলিটি (১৮%), নথিপত্রের কাজ (১৭%), চুক্তির আলোচনা (১৫%), বিক্রয় পরামর্শদাতা (১৫%), এবং ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইট (১৪%)। এ বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বিষয়গুলি বিচার করে নম্বর দিয়েছিল জেডি পাওয়ার।
এই প্রসঙ্গে NielsenIQ-এ অটোমেটিভ প্র্যাকটিস ইন্ডিয়ার প্রধান সন্দীপ পান্ডে বলেন, “তাৎক্ষণিক তথ্যের প্রাপ্যতার যুগেও, বিক্রয় পরামর্শদাতা ক্রয়ের অভিজ্ঞতাকে চালিত করে।” তিনি যোগ করেন, “ক্রেতারা কেনাকাটার জন্য শোরুমমুখী হওয়ার পাশাপাশি একটি নিরবচ্ছিন্ন পণ্যের পছন্দ সন্তুষ্টি বাড়াতে সহায়তা করে।”
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ সংস্থা এমজি মোটর ডিজিটাল শোরুমের উপর বর্তমানে জোর দিচ্ছে। এদেশে তাদের বিক্রিত গাড়িগুলি হল – Hector, Hector Plus, Gloster, Astor, ও ZS EV। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে উপলব্ধ SAIC-GM-Wuling-এর উপর নির্ভর করে একটি পুঁচকে ইলেকট্রিক গাড়ি এদেশে নিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছে সংস্থা। ২০২৩-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে লঞ্চ হবে সেটি।