৪০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে দেশে নতুন কারখানা গড়বে MG Motor, গুজরাত-সহ বেশ কিছু রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চলছে
বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম হওয়া সত্ত্বেও ভারতের গাড়ির বাজার যে ক্রমশ হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে তা অস্বীকার করার জো নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিচার করে ভবিষ্যতে ভারত নিজের স্থান যে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে তা একপ্রকার নিশ্চিতভাবে বলা যায়। কারণ ভারতের বাজারে দেশী-বিদেশী গাড়ি সংস্থার লগ্নির জোয়ার চলছে। যার প্রাবল্য দিনদিন উদীয়মান। এর নিদর্শন আরও একবার সামনে এল। এমজি মোটর (MG Motor)-এর ভারতীয় শাখা এদেশে তাদের দ্বিতীয় কারখানা নির্মাণের জন্য ৪,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে। ইতিমধ্যেই সংস্থাটি একাধিক রাজ্য সরকারের সাথে এই প্রসঙ্গে কথাবার্তা বলেছে।
এমজি মোটর ইন্ডিয়া (MG Motor India)-র প্রথম কারখানাটি গুজরাতের হালোলে অবস্থিত। এবারে তারা দ্বিতীয় কারখানা নির্মাণের জন্য গুজরাত সরকারের সাথেও আলাপ-আলোচনা করেছে বলে সংস্থা সূত্রের খবর। আসলে হালোলের কারখানাটিতে বছরে গাড়ি উৎপাদনের সংখ্যা ২০২৩-এর মধ্যে বাড়িয়ে ১.২৫ লক্ষ করা হবে। এবং নতুন কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১.৭৫ লক্ষ। সব মিলিয়ে এদেশের বাজারে আগামী দু'বছরের মধ্যে বার্ষিক ৩ লক্ষ গাড়ি উৎপাদনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে সংস্থাটি।
এই প্রসঙ্গে এমজি মোটরের ভারতীয় শাখার সভাপতি এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব ছাবা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, “হালোলের কারখানা থেকে বার্ষিক ১.২৫ লক্ষ গাড়ি উৎপাদন ছাড়াও আমাদের অপর একটি কারখানার প্রয়োজন। নতুনটি হালোলেই হতে পারে, অতিরিক্ত জমির জন্য আমরা গুজরাত সরকারের সাথে কথা বলেছি। অন্যান্য রাজ্যের থেকেও প্রস্তাব এসেছে। গুজরাতের পাশাপাশি আমরা সেইসব রাজ্য সরকারের সাথে কথা বলছি।” তিনি আরও বলেন, “কিছু পুরনো কারখানাকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্যেও অফার পেয়েছি। আমরা সে বিষয়েও ভাবনা চিন্তা করছি। আমার ধারণা, জুনের মধ্যে আমরা দ্বিতীয় কারখানার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব।”
দ্বিতীয় কারখানার জন্য লগ্নির প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ছাবা বলেন, “এর জন্য আমরা প্রায় ৪,০০০ কোটি টাকা লগ্নির পরিকল্পনা করছি।” তিনি জানিয়েছেন, লগ্নির জন্য সংস্থাটি একাধিক বিনিয়োগকারী ছাড়াও ECB (External Commercial Borrowing) ও FDI (Foreign Direct Investment)-এর থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। ২০২১-এ সংস্থাটি ভারতে ৪০,০০০ গাড়ি বিক্রি হয়েছে। এ বছর সেই সংখ্যাটি ৭০,০০০-এ পৌছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তারা।