Nissan সাধারণ মানুষের কথা ভেবে হাসপাতালের উন্নয়নে 2 কোটি টাকা দান করল
সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা সকলের। সে ব্যক্তি হোক বা সংস্থা, নিজের দায়িত্বটুকু যদি আমরা সামান্য হৃদ্যতার সাথে পালন করি, তবে হয়তো আগামী প্রজন্মকে বসবাসের উপযোগী একটি সুন্দর বসুন্ধরা উপহার হিসেবে দিয়ে যেতে পারব। একটু মানবিকতা দিয়ে দেশের অসংখ্য দরিদ্র মানুষের একটু সহায় হয়ে ওঠার জন্যও বিশেষ কাঠখড় পোড়াতে হয় না। অসময়ের বলি হওয়া দীনজনের চোখের জল মোছানোর মধ্যে যে অকৃত্রিম আনন্দ পাওয়া যায়, তার বিকল্প উপায়ের হদিশ সচরাচর মেলে না। তবে ভারতে এমন বহু সংস্থাই রয়েছে, যারা আর্তজনের পাশে দাঁড়ানোর মত মহৎ কাজ করতে কুন্ঠা করেনি। তেমনই এক কোম্পানি হল নিসান ইন্ডিয়া (Nissan India)। কী করেছে তারা শুনবেন?
সম্প্রতি জাপানি অটোমেকার নিসান ২ কোটি টাকা খরচ করেছে, যাতে অসহায় মানুষরা উন্নত মানের চিকিৎসা পান। দক্ষিণ ভারতের রাজ্য তামিলনাড়ুর চেঙ্গলপট্টু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নে এই দানের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। নামকরা এনজিও হ্যান্ড ইন হ্যান্ড-এর সাথে যৌথ উদ্যোগে চেঙ্গলপট্টু মেডিকেল কলেজের ‘মেডিকেল আউটপেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট’ (MOPD) বা বহির্বিভাগের নতুন ভাবে সংস্কার করেছে নিসান। যেটি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
আবার রোগীর আত্মীয়দের ঘন্টার পর ঘন্টা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার মত কষ্ট থেকে রেহাই দিতে, হাসপাতাল চত্বরে একটি নতুন ওয়েটিং হল তৈরি করবে তারা। মেডিকেল আউটপেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট দপ্তরটি উদ্বোধন করেন তামিলনাড়ুর ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী । সংস্থা সূত্রে খবর, এর জন্য তাদের মোট ৪৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ফলে প্রতিদিন ১,০০০ রোগীর চিকিৎসার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার ওয়েটিং হলের নির্মাণ কাজ যে খুব শীঘ্রই হাত দেওয়া হবে। যার জন্য ১.৩৫ কোটি টাকা বাজেট ধার্য করা হয়েছে।
হাসপাতালের এই উন্নত ব্যবস্থা রোগীদের কার্ডিওলজি এবং জেনারেল মেডিসিন ওপিডি-তে চিকিৎসা করানোর পথ প্রশস্ত করেছে। এই প্রসঙ্গে নিসানের ভারতীয় শাখার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাকেশ শ্রীবাস্তব বলেন, “সমগ্র বিশ্বে ‘জনগণ প্রথমে’ কর্মসূচির আওতায় নিসান ইন্ডিয়া একাধিক উদ্যোগ যেমন সম্প্রদায়ের উন্নয়ন, রাস্তার সুরক্ষা, সুস্বাস্থ্য এবং ভালো থাকার ক্ষেত্রে নিরন্তর কাজ করে চলেছে। এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া অনুন্নত শ্রেণীর সাম্যতা দানের প্রচার চালাচ্ছে। তামিলনাড়ুর এই হাসপাতালের উন্নয়ন বৃহৎ সংখ্যক নাগরিকদের সুচিকিৎসা দিতে সহায়তা করবে। এর ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থাও শক্তপোক্ত হয়েছে।”